শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

পিয়াজের ঝাঁজ

উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিন

পিয়াজের ঝাঁজ কিছুতেই কমছে না। বাজারে নতুন পিয়াজ ওঠার পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানি সত্ত্বেও দাম এখনো আকাশচুম্বী। নতুন পিয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অন্যান্য বছরে এ সময় তা বিক্রি হয়েছে সর্বাধিক ১৫ টাকা কেজি। আমদানি করা পিয়াজের দামও প্রায় একই। পিয়াজের দাম বৃদ্ধির পেছনে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহের ঘাটতিই যে প্রধান কারণ তাতে সন্দেহ নেই। কারণ, বাজারে যখন নতুন পিয়াজ উঠছে তখন দাম বাড়ানোর জন্য কেউ আগের বছরের পিয়াজ মজুদ করে সংকট সৃষ্টি করবে বা লাভবান হতে চাইবে এমনটি ভাবা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ যাই হোক, পিয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য ভোক্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, বাজারে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার ফল সরকারের জন্য খারাপ হতে পারে। দেশে চাহিদার তুলনায় পিয়াজের উৎপাদন কম এবং এই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটিকে কেন্দ্র করে কোনো কোনো বছরে মহাসংকট দানা বেঁধে ওঠে। চাহিদা পূরণে প্রতি বছর ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ পিয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতে কোনো কারণে উৎপাদন ব্যাহত হলে সে দেশে এ পণ্যের দাম বেড়ে যায়। নিজেদের বাজার ঠিক রাখতে রপ্তানির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। পরিণতিতে বাংলাদেশে দেখা দেয় পিয়াজের অধিমূল্য। এই নিত্যপণ্যের কারণে বেড়ে যায় জনভোগান্তি। এ বিসংবাদের অবসানে দেশে পিয়াজের উৎপাদন বাড়ানো দরকার। এ ক্ষেত্রে হাইব্রিড জাতের পিয়াজ উৎপাদনের কোনো বিকল্প নেই বলে আমাদের ধারণা। আমাদের প্রত্যাশা, চলতি বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি রোধে দেশে পিয়াজের উৎপাদন বাড়ানো বিশেষত এ দেশের উপযোগী হাইব্রিড বীজ উদ্ভাবনের জন্য চেষ্টা করা হবে। পিয়াজের ওপর বিদেশনির্ভরতা কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয় এবং এ নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে এখন থেকেই তৎপর হতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর