শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশব্যাপী উন্নয়ন মেলা

জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে অবদান রাখুক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার একযোগে দেশের ৬৪টি জেলায় আয়োজিত উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেছেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। তিন দিনব্যাপী এই উন্নয়ন মেলার উদ্দেশ্য হলো, দেশের চলমান উন্নয়ন সাফল্যকে জনগণের সামনে তুলে ধরে সরকারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা। উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেখতে চাই। সরকার দেশের উন্নয়নের যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে তার সুফল পাচ্ছে জনগণ। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যাতে সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয় সে জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের উন্নয়ন সার্বিকভাবে সব মানুষের, বিশেষ করে গ্রামের মানুষের জন্য। গ্রামের মানুষের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট নির্মাণ, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিসহ আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি যেন বিশ্বদরবারে সম্মানজনক স্থানে পৌঁছাতে পারি। সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়, সে জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেসব উন্নয়ন কাজ করতে পেরেছি ও করার পদক্ষেপ নিয়েছি সেগুলোর ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে হবে। সরকারের উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের উন্নয়ন, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নয়ন। উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাত্পর্যপূর্ণ। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। সেহেতু যে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করা গেলে তার সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। টেকসই উন্নয়নেরও সহায়ক হয় উন্নয়ন কাজে জনগণের অংশগ্রহণ। উন্নয়ন মেলা এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছে। উন্নয়ন মেলার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে মানুষ জানার সুযোগ পাবে।  মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী করলে ভালো হয় সে ব্যাপারে সবার মত নেওয়া সম্ভব হবে। কৃষক শ্রমিক জনপ্রতিনিধি সবার মতামতের ভিত্তিতে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাবে।  উন্নয়ন মেলা জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে অবদান রাখলে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্নয়ন সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করা যায়।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর