বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিমানবন্দরে ইঁদুরের উৎপাত

অব্যবস্থাপনার অবসান কাম্য

শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আর অব্যবস্থাপনা যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার বিমানবন্দরের ভিআইপি কক্ষে ইঁদুরের কামড়ে আহত হয়েছেন এক অতিথি। সকাল ৯টার দিকে ২ নম্বর ভিআইপি কক্ষ দোলনচাঁপায় ঘটে ইঁদুরের দ্বারা এক নারী অতিথির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। এমনিতেই শাহজালালে যাত্রীদের প্রতিক্ষণেই হয়রানির মুখে থাকতে হয়। দুনিয়ার আর কোনো ব্যস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইঁদুর-বিড়াল দাপিয়ে বেড়ানোর ঘটনা বিরল হলেও শাহজালালে তা অহরহ ঘটছে। মশা-মাছির উৎপাতও এ বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিটের মধ্যে লাগেজ পাওয়া যায়, সেখানে শাহজালালে মিনিট পেরিয়ে চলে যায় ঘণ্টা। লাগেজ খোয়া যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া বিমানে ওঠার আগে দেহ তল্লাশির নামে চলে যাত্রী হয়রানি। সবচেয়ে বেশি হয়রানির শিকার হতে হয় যাদের রেমিট্যান্সে টিকে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সেই শ্রমজীবীদের। বিমানের ইমিগ্রেশনের ভিতরও চলে মানি এক্সচেঞ্জের নামে আরেক বিড়ম্বনা। মাঝেমধ্যেই নষ্ট হয় স্ক্যানিং মেশিন। ট্রলি খুঁজে পেতেও হয়রান হতে হয়। চারদিকে হতশ্রী অবস্থা বিরাজ করলেও বকশিশ আদায়ের ক্ষেত্রে এই বিমানবন্দরের কেউ পিছিয়ে থাকতে চান না। বিমানবন্দরে যাত্রী পরিবহনে যেসব ট্যাক্সি থাকে তারা আদায় করে কয়েক গুণ ভাড়া। প্রতারকের ভিড়ও লেগে আছে বিমানবন্দরজুড়ে। শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের পরিচিতির অন্যতম অনুষঙ্গ। এ বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনা বিদেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার জন্যও সৃষ্টি করছে হুমকি; যা কাটিয়ে উঠতে অব্যবস্থাপনার গণ্ডি থেকে শাহজালালকে বেরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। যাদের কারণে দেশের এই বিমানবন্দর সুনাম হারাচ্ছে তাদের সামাল দেওয়ার সক্ষমতা কর্তৃপক্ষ অর্জন করুক— আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

 

সর্বশেষ খবর