বৈজ্ঞানিক নাম Heliotropium indicum খ. পতিত জমি, ড্রেনের ধার, রাস্তার কিনারা এবং খরিফ ফসলে এ গাছ দেখা যায়। এ গাছের পাতা ফোঁড়া, ঘা এবং যে কোনো কীট দংশনে উপকারী। স্থানীয়ভাবে ক্ষত ও দাঁতের ফোঁড়া নিরাময়ে এর ব্যবহার হয়। চোখ ওঠায় এ গাছের পাতার প্রলেপ উপকারী। এভাবে নিম, তুলসী, আমলকী, ফণিমনসা, চন্দ্রমূলী, আদা, ঘৃতকুমারী শতমূলী, কুমারিকা, রক্তদ্রোণ, গোখরা, কেশরাজ, ভীমরাজ, বন ওকড়া প্রভৃতি অনেক প্রকার ঔষধি গাছের নাম উল্লেখ করা যায় আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে। অথচ এগুলোর যথাযথ প্রয়োগ ও ব্যবহারে আমাদের উৎসাহ নেই। তাই পরিকল্পিতভাবে যদি আমরা এসব গাছপালার গুণাগুণ সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে পারি তবে অতি সামান্য ব্যয়ে প্রাথমিক স্তরের যে কোনো রোগ স্থায়ীভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিলুপ্তপ্রায় কিছু গাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে। এর জন্য সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিত নবজাগরণ দরকার। এ অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সর্বসাধারণের গ্রহণযোগ্য কিছু পদক্ষেপ প্রস্তাব করা যেতে পারে। ক. এ বিষয়টির ওপর জ্ঞান থাকা ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে তা নানাভাবে প্রচার করা। খ. কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ বিষয় ছড়িয়ে দিতে হবে।
ডা. আলমগীর মতি।