রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

জ্ঞানের অপচর্চা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

ইসলামে জ্ঞানীদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। যারা জ্ঞানী তারা যাতে তাদের জ্ঞানের সদ্ব্যবহার করে সে ব্যাপারেও তাগিদ দেওয়া হয়েছে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে। আলেমদের নৈতিক বিচ্যুতির ব্যাপারেও একাধিক হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ তাদের নৈতিক অধঃপতন সমাজে বিভ্রান্ত সৃষ্টি এবং রক্তক্ষয়ী বিরোধের জন্ম দিতে পারে।  কেড়ে নিতে পারে মানুষের শান্তি। সামাজিক ঐক্যকে দুর্বল করতে পারে।

ইবনে ওমর (রা.) বর্ণিত হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন : ‘আমি তোমাদের ব্যাপারে (তিনটি বিষয়ে) সবচেয়ে বেশি শঙ্কিত : আলেম বা যাদের মাঝে কোরআন ও হাদিসের প্রচুর জ্ঞান রয়েছে, তাদের নৈতিক অধঃপতন, মুসলমান পরিচয়ধারী কপট-ভণ্ডদের কোরআনের বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িত হওয়া এবং পার্থিব কামনা-বাসনা, যা তোমাদেরও রক্তক্ষয়ী বিরোধের উৎসাহ জোগায়।’ —তাবারানি।

কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এমন এক সত্তা যিনি সব ধরনের ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে। কোরআনের প্রতিটি বিষয় যেহেতু নিশ্চিতভাবে সত্য সেহেতু তা নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই।

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে আবু দাউদে ও ইবনে হেব্বানে বর্ণিত আছে, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোরআন সম্পর্কে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া কুফরি কাজ।

ইসলাম জ্ঞানচর্চাকে উৎসাহিত করেছে। জ্ঞানার্জনের জন্য মুমিনদের মধ্যে অনুসন্ধিত্সু মনোভাব থাকবে এমনটিও কাঙ্ক্ষিত। তবে যারা না জেনে না বুঝে অযথা কোনো বিষয়ে মত প্রকাশ করে তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘অজ্ঞাত বিষয় নিয়ে যে তর্কে লিপ্ত হয়, সে তর্কে ক্ষান্ত না দেওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তার প্রতি নাখোশ থাকেন।’

অযথা তর্কে লিপ্ত হওয়া কিংবা বিভ্রান্তির শিকার হয়ে কলহে লিপ্ত হওয়ার বিপদ থেকে সতর্ক থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে তিরমিজি শরিফের এক হাদিসে।

হজরত আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো দল যদি বিভ্রান্তিতে পতিত হয়,  সে তখন কলহপ্রিয় হিসেবে পরিণত হয়।’

 

লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর