সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুর্নীতির মাধ্যমে অনেকে বটগাছও হয়েছেন

মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম, পীর চরমোনাই

দুর্নীতির মাধ্যমে অনেকে বটগাছও হয়েছেন

অনেক জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় অর্ধশত বছরের কাছাকাছি। মানুষ আশা করেছিল,  পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে দেশ স্বাধীন করতে পারলে দেশে সুশাসন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। প্রতিহিংসার রাজনীতির অবসান হবে।  মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।  ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর হয়ে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা হবে, জুলুম-নির্যাতন বন্ধ হবে। কৃষক, শ্রমিক মেহেনতি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটবে। সামাজিক অনাচার, অবিচার দূর হবে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হবে। উৎপাদনমুখী টেকসই শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বৈদেশিক ঋণ কমে আসবে। পর্যায়ক্রমে আমরা উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হব। আধিপত্যবাদমুক্ত একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। মা ও বোনের জাতি নারীজাতি তার যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। রাজনৈতিক হানাহানি, খুন-গুম বন্ধ হবে।

সর্বোপরি সৃষ্টির সেরা বনিআদম মানুষ তার মৌলিক চাহিদা ও মৌলিক অধিকার নিয়ে নির্বিঘ্নে বসবাস করতে পারবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য মানুষ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভালো দল এবং সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে দল নির্বাচিত হবে, অন্য বিরোধী দল তাদের সম্মান করবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার পর কোনো নির্বাচনই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। সব নির্বাচনেই স্থূল ও সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। যারা জয়লাভ করেছে তারা উল্লাসে মেতে উঠেছে; বিরোধী দল নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। যে দল যখন বিরোধী দলে ছিল তারা বছরের পর বছর সংসদ বর্জন করেছে। বিভিন্ন অজুহাতে সংসদ বর্জন করলেও সংসদের সব সুযোগ-সুবিধা যেমন বেতন-ভাতা, বাড়ি ও ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি, প্লট তারা গ্রহণ করেছেন। যারাই একবার ক্ষমতায় গেছেন তাদের নেতা-কর্মীরা অনেকেই দুর্নীতির মাধ্যমে শুধু আঙ্গুল ফুলে কলাগাছই হয়নি; অনেকেই আঙ্গুল ফুলে বটগাছও হয়েছেন। স্বাধীনতার পরে এ দেশের অনেক নেতার, দফার ও সরকার কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। গণতন্ত্র উদ্ধার আর গণতন্ত্র রক্ষার নামে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। অনেক হরতাল-অবরোধ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের জীবন ধ্বংস হয়েছে। অনেক জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে। এতকিছু করার পরও কি সুস্থ কোনো রাজনৈতিক ধারা এবং সঠিক ও কল্যাণময় দেশ শাসনের কোনো পদ্ধতি গড়ে উঠেছে? আদৌ না; বরং রাজনৈতিক অঙ্গন হয়ে পড়েছে দূষিত, বিষাক্ত, কলুষিত ও নোংরা। রাজনৈতিক কোনো সুস্থ ধারা না থাকার কারণে স্বাধীনতার পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা রাজনৈতিক অঙ্গনকে কলুষিত করে যেসব নোংরা অনৈতিক বিষয়ের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

১. দুর্নীতি, ২. সন্ত্রাস, ৩. মানবাধিকার লঙ্ঘন, ৪. অনুৎপাদন, ৫. বেকারত্ব, ৬. জাতীয় চরিত্র ধ্বংস, ৭. সর্বত্র দলীয়করণ, ৮. ক্ষমতাসীনদের অর্থনৈতিক চরম উন্নয়ন, ৯. জাতীয় অনৈক্য ও সংঘাত, ১০. গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ১১. রাজনীতির নামে ব্যক্তিস্বার্থ, দলীয় স্বার্থ তথা কায়েমী স্বার্থ প্রতিষ্ঠা, ১২. বিদেশি শক্তির তাঁবেদারি ও মনোরঞ্জনের প্রতিযোগিতা। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলগুলো সবসময় দ্বৈত ভূমিকা পালন করে আসছে। ক্ষমতায় থাকলে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বোঝেন না। আবার ক্ষমতাহীন হয়ে যখন বিরোধী দলে থাকেন, তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না বলে আন্দোলনের নামে দেশে চরম নৈরাজ্য, ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। ১৯৯৬ সালের আন্দোলনের একপর্যায়ে খালেদা জিয়াকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগ-জামায়াত-জাতীয় পার্টি ঘোষণা দিয়েছিল, নির্বাচনী সফরে যে জেলাতেই খালেদা জিয়া সফর করবেন সে জেলাতেই হরতাল হবে। তা-ই হয়েছিল।

কিন্তু ১৫ বছর পর শেখ হাসিনা তার অবস্থান পুরোপুরি পাল্টে ফেলেছেন। একই অবস্থা খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল। তিনি বলেছিলেন, শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তিনি আরও বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানবিরোধী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, এ দ্বন্দ্ব নিয়ে রাজনৈতিক সংকট ক্রমেই জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। ক্ষমতার রাজনীতির প্রতিহিংসার আগুনে প্রতিদিন দগ্ধ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা আদম সন্তান। জননিরাপত্তা ভেঙে পড়েছে। উন্নয়ন-উৎপাদন, অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। হুমকিতে পড়েছে জাতীয় শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। এমনকি, রাজনৈতিক সংকট জনজীবনকে এতটাই জিম্মি ও অসহায় করে তুলেছে যে, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। অপরদিকে সর্বত্র টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, চাঁদাবাজদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে; মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। ক্রমাগতভাবে সমস্যা সৃষ্টি হতে হতে সমস্যার পাহাড় তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবীসহ প্রায় সব পেশাজীবী শ্রেণি স্বার্থের কারণে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর লেজুড়বৃত্তি করে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর পরিচয় ভুলে গিয়ে দলীয় ভূমিকা পালন করছে। ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত ও স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে প্রশাসনযন্ত্রকে ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সেবামূলক সব প্রতিষ্ঠানে চলছে ঘুষের মহাবাণিজ্য। নিয়োগ বাণিজ্যেও চলছে ঘুষের ছড়াছড়ি। ন্যায়নীতিভিত্তিক রাষ্ট্রনীতি এবং সৎ যোগ্য নেতৃত্ব যদি দেশে না থাকে তাহলে দেশের যে কত দুরবস্থা হয়, রাজনৈতিক অঙ্গন যে কত ভয়াবহ হয় এবং মানুষের জীবন যে কত দুর্বিষহ হয় এর বাস্তব নিদর্শন হলো বাংলাদেশের বিরাজমান রাজনৈতিক অঙ্গন। যার কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশ শাসনের সঠিক কোনো পদ্ধতি গড়ে ওঠেনি। পদ্ধতি যা গড়ে উঠেছে তা অত্যন্ত বিভীষিকাময়, হৃদয়বিদারক, ধ্বংসাত্মক, হিংসাত্মক, ভয়ঙ্কর, জংলি ও বর্বর। রাজনীতিবিদরা সন্ত্রাসীদের ভাষায় কথা বলেন। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কাজে নিয়োজিত বাহিনী ও প্রশাসনের কর্তব্যরত ব্যক্তিরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভাষায় কথা বলেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ একতরফাভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিলের ফলে দেশে নতুনভাবে রাজনৈতিক সংকটের সূচনা হয়েছে। যার পরিণতিতে গত বছরের ৫ জানুয়ারি ২০১৪ দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছে। যে নির্বাচনে ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। যে নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল : নিয়ম রক্ষার একটি নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য আলোচনা শুরু করবে। কিন্তু দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলেন, ক্ষমতাসীনরা সংলাপ এবং সমঝোতার পথে না গিয়ে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে, প্রতিপক্ষকে দমন করতে গিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিলতর করে তুলেছে। আজীবন ক্ষমতায় থাকা এবং যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার মদমত্ততায় পাগলপারা দলগুলোর ধ্বংসাত্মক এবং প্রাণঘাতী কার্যকলাপে দেশ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট বার বার প্রকট আকার ধারণ করছে। এর থেকে উত্তরণে কিছু প্রস্তাবনা দেশপ্রেমিক ও ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে পেশ করেছি।

১. দলীয় সরকারের চেয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তুলনামূলকভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়। এ লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সময়ের একান্ত দাবি। সংবিধানের দোহাই দিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনোক্রমেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

২. প্রচলিত রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে রাজনীতিকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে হবে। কোনোক্রমেই দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের রাজনৈতিক দলে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারণ, দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের কোনো রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। কারণ দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার দুশমন।

৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠাকল্পে সংসদ নির্বাচনে বিকল্প নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তন করতে হবে। জনগণ ভোট দেবে দলকে, কোনো ব্যক্তিকে নয় এবং ভোটের আনুপাতিক হারে দলগুলো আসন বরাদ্দ পাবে। ফলে কালো টাকা, পেশিশক্তি, ভোট কারচুপি বন্ধ হবে। দলের আদর্শ ও নেতা-কর্মীদের সততা ও যোগ্যতা বিবেচনা করে জনগণ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।

৪. দুর্নীতি, সন্ত্রাস বন্ধ, সুশাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় শুধু আইনের শাসন নয়, ন্যায়ের শাসনও প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৫. রাষ্ট্রের সব স্তর থেকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস শুধু দমন নয়, নির্মূল করতে হবে।

৬. সার্বিক কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জীবনব্যবস্থা ইসলাম এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে।

৭. জাতীয় সংসদসহ সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সৎ, যোগ্য ও আল্লাহভীরু প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে হবে। যারা আল্লাহ, জনগণ এবং নিজের বিবেকের সঙ্গে জবাবদিহিতায় দায়বদ্ধ থাকবেন এবং জনগণ ও দেশের একটি পয়সাও আত্মসাৎ করবে না।

৮. রাজনৈতিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনৈতিক সংঘাত, হানাহানি নিরসন ও প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সহনশীল মনোভাব সৃষ্টি করে আন্তঃদলীয় সংলাপ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, চলমান জাতীয় সংকট উত্তরণে ক্ষমতাসীন সরকারকেই দায়িত্ব নিয়ে গ্রহণযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন এবং বাকস্বাধীনতা হরণের পরিণাম কারও জন্যই ভালো হবে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দেশের একজন মানুষেরও জীবনহানি ঘটুক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তা চায় না। তাই আমরা এ মুহূর্তেই রাজনৈতিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংকট নিরসনে দেশের রাজনৈতিক দল, ওলামায়ে কেরাম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বশীল মানুষের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে।  ক্ষমতাসীন সরকার যদি আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অতি দ্রুত  শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছতে না পারে, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করতে না পারে, পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে কলঙ্ক ঘোচাতে না পারে, তাহলে ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ দেশ রক্ষায় এবং দেশের মানুষের জীবন-সম্পদ রক্ষায়,  দেশপ্রেমিক, শান্তি ও মুক্তিকামী জনগণের রায় ইসলামের পক্ষে আনয়নের লক্ষ্যে এককভাবে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে— ইনশা আল্লাহ।

লেখক : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির।

 

সর্বশেষ খবর