শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডাকসু নির্বাচন

শুধু সিদ্ধান্ত নয় বাস্তবায়নও কাম্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সম্পর্কে অবশেষে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে প্রতিটি হলের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নও করা হবে। ডাকসু নির্বাচনের ব্যাপারে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনা করবে এবং পরিবেশ পরিষদ চালু করে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুস্থ ধারা প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচিত ছাত্রসংসদের কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষাঙ্গনে সব মতের সহাবস্থান নিশ্চিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালের ৬ জুন। তারপর থেকে দুই যুগেরও বেশি সময় শুধু ডাকসু নয় দেশের সব শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা বিরাজ করছে। যখন  যে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকছে তাদের সমর্থক ছাত্র সংগঠন শিক্ষাঙ্গনে আধিপত্য বজায় রাখছে। ভিন্নমতের সংগঠনগুলোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। দেশের রাজনীতির জন্যও বিসংবাদ ডেকে এনেছে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার ঘটনা। কারণ নব্বইয়ের আগ পর্যন্ত ছাত্র সংসদগুলো রাজনৈতিক নেতা সৃষ্টিতে অবদান রেখেছে। জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ছাত্রসংসদে নেতৃত্ব দেওয়া নেতারা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তারপর থেকে রাজনীতিতে জেঁকে বসেছে পেশাদার রাজনীতিকের বদলে সুযোগ সন্ধানীরা। গত বছর রাষ্ট্রপতি ডাকসু নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টিতে উৎসাহ জোগান। সরকারের জন্যও রাষ্ট্রপতির তাগিদ নৈতিকভাবে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ডাকসু নির্বাচনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আশা করা যায় এ সংক্রান্ত অচলাবস্থা অতি দ্রুত অপসৃত হবে। আগামী মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবে পরিণত হবে। একই সঙ্গে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইবে এমনই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর