বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

জনশক্তি রপ্তানি খাত

প্রাণভোমরা জিইয়ে রাখতে হবে

বিদেশে বাংলাদেশের ১ কোটিরও বেশি লোক কর্মরত। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে প্রাণভোমরার কাজ করছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় বাঘা বাঘা দেশগুলোর অর্থনীতি মার খেলেও বাংলাদেশ বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতা দেখিয়েছে রেমিট্যান্স আয়ের বদৌলতে। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা দেশের জন্য শুধু মূল্যবান অর্থ বয়েই আনছেন না, দক্ষ জাতি গঠনেও ভূমিকা রাখছেন। অদক্ষ যেসব মানুষ বিদেশে কাজের জন্য যাচ্ছেন তারা দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হচ্ছেন কালক্রমে। কাজ শেষে দেশে ফিরে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। ঘন জনবসতির ক্ষুদ্র আয়তনের এই দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। স্বভাবতই জনশক্তি রপ্তানি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আশার আলো হয়ে বিরাজ করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত জনশক্তি রপ্তানি খাতের হালহকিকতের চিত্র ফুটে উঠেছে গত সোমবার বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত ‘জনশক্তি প্রেরণ : সংকট ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে। গোলটেবিল বৈঠকের বক্তারা দেশের অর্থনীতির এই প্রাণভোমরাকে জিইয়ে রাখতে সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বলেছেন, এ খাতের আয় বাড়াতে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির ওপর জোর দিতে হবে। বিদেশে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারাও অনেক সময় চাহিদা অনুযায়ী দেশি লোক না পেয়ে ভিনদেশিদের কাজ দিতে বাধ্য হন। বক্তারা জনশক্তি রপ্তানির বড় বাজারগুলোর সঙ্গে দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। অভিবাসন ব্যয় কীভাবে কমানো যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী বায়রার মধ্যে যৌথ কমিটি গড়ার পরামর্শও দিয়েছেন। বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর নির্যাতনের বিষয় নিয়েও তারা আলোকপাত করেছেন। জনশক্তি রপ্তানি খাতে নানা সমস্যা এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ থাকলেও স্বীকার করতেই হবে, শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এটি এমন একটি খাত যা দেশের অর্থনীতিকে জিইয়ে রেখেছে। কর্মসংস্থানে এককভাবে বৃহত্তর ভূমিকা রাখছে। এ বিবেচনাতেই এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সব পক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর