সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর তাগিদ

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে বিনিয়োগের প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে অর্থাৎ ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন। এক মাসের মধ্যে সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিনিয়োগের স্বার্থে ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে হবে। স্মর্তব্য, ব্যাংক মালিকদের প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারি আমানত ২৫ শতাংশের বদলে ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া মুদ্রানীতিতে ঘোষিত নগদ সংরক্ষণ অনুপাত ৬.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ফেরত পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে ব্যাংকগুলো অচিরেই সুদের হার কমানোর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। ব্যাংক ঋণের উচ্চ হারের জন্য দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিনিয়োগ খরা চলছে। বিনিয়োগের প্রবাহ হ্রাস পাওয়ায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও চলছে সংকট। যা কাটিয়ে ওঠার একমাত্র পথ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা। এ জন্য দরকার ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনা। ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত চেষ্টায় ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নেমে এসেছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে সুদের পরিমাণ চার শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বিনিয়োগ খরা সৃষ্টি করেছে। এ খরা কাটাতে সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি ব্যাংকে সরকারি আমানত ২৫ শতাংশের বদলে ৫০ শতাংশ করাসহ মুদ্রানীতিতে নগদ সংরক্ষণ অনুপাত ৬.৫ শতাংশ থেকে ৫.৫ শতাংশ করার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর তাগিদ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করে তুলবে এমনটিই প্রত্যাশিত। ঋণের সুদের হার কমালে বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও লাভবান হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। কারণ তাতে ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ।  দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে সংকট চলছে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। প্রতিদিন কর্মসংস্থানের মিছিলে যারা  যোগ দিচ্ছেন তারাও আশাবাদী হয়ে উঠবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর