বুধবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ ভারত বন্ধুত্ব

তিস্তার পানি বণ্টনের জট খুলুক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অতীতের মতো বাংলাদেশের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার নয়াদিল্লিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সফররত প্রতিনিধি দল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের এ কথা বলেন। বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের পাঁচ জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন মোদি। বৈঠকে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বৈঠকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি ও আওয়ামী লীগের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করে মোদি বলেন, এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ভারত শিগগিরই উদ্যোগ নেবে। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল তিস্তার পানি বণ্টন বিষয়টির উল্লেখ করলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অমীমাংসিত প্রায় সব ইস্যুর যেহেতু সমাধান হতে শুরু করেছে তাই তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে। স্মর্তব্য, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটি ভারত সফরে যায় বিজেপির আমন্ত্রণে। বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধানে ভারতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিশ্রুতিকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ভারত যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে দেখছে, তা প্রকাশ পেয়েছে সুখে-দুঃখে একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতিতে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির খবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি তিস্তার পানি বণ্টনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতিকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশের সরকারি দল। সরকারের বর্তমান মেয়াদে এ বিষয়ে জট খুলবে এমন আশাই করছে বাংলাদেশের মানুষ। দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বার্থে তিস্তার পানি বণ্টনে যে জট বেঁধেছে তা খোলা ভারতেরও দায়িত্ব বলে বিবেচিত হবে— এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর