রবিবার, ২৭ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রমজানে সাহরির গুরুত্ব

মাওলানা মুহম্মাদ আশরাফ আলী

রোজা পালনের উদ্দেশ্যে শেষ রাতে কিছু খাওয়াকে সাহরি বলে। সাহরি খাওয়া সুন্নত। সাহরির সময় একটি খুরমা বা সামান্য পানি পান করলেও সাহরির সুন্নত আদায় হবে। যদি কোনো কারণে রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হতে না পারে, তাহলে সাহরি না খেয়ে রোজা রাখলেও রোজা হয়ে যাবে। সাহরি না খাওয়ার অজুহাতে রোজা ভঙ্গ করলে গুনাহ হবে। সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত সাহরি খাওয়া জায়েজ। সুবহে সাদিকের পরে আর কোনো কিছুই খাওয়া জায়েজ নেই। খেলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে যদি কেউ সময়মতো সাহরি খেতে না পারে এবং রোজা রাখার পর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে তাহলে রোজা ভঙ্গ করতে পারবে। তবে পরে তা কাজা করতে হবে। দেরি করে সাহরি খাওয়া সুন্নত। সাবধানতার জন্য অধিক রাত অবশিষ্ট থাকতে সাহরি খাওয়া ভালো নয়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সাহরি বরকতময় খানা, তোমরা তা ত্যাগ কর না, যদিও তোমাদের কেউ এক ঢোক পানি গলধকরণ করে। কারণ আল্লাহ সাহরি ভক্ষণকারীদের ওপর রহমত প্রেরণ করেন ও ফেরেশতারা তাদের জন্য ইস্তিগফার করেন। (আহমদ, জামে সাগর)। হজরত মিকদাদ ইবনে মা’দি কারিব (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা অবশ্যই সাহরি ভক্ষণ কর। কেননা, তা বরকতপূর্ণ খাবার। (নাসায়ি, আহমেদ)। সাহরি খাওয়া শরিয়তের নির্দেশ বাস্তবায়ন করা। কারণ নবী (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন, এতে রয়েছে বান্দার ইহকাল ও পরকালের সফলতা। (ফতহুল বারি, তাত্তফিহুল আহকাম)। আমাদের কর্তব্য সাহরিতে বাড়াবাড়ি না করা, বিশেষভাবে যেহেতু নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তা ত্যাগ কর না’ নেক নিয়তে সওয়াবের আশায় সাহরি ভক্ষণ করা, শুধু অভ্যাসে পরিণত করা নয়। (তাওজিহুল আহকাম)। সাহরির দাওয়াত দেওয়া ও দাওয়াত গ্রহণ করা বৈধ। কারণ রসুল (সা.) ইরবাজ ইবনে সারিয়াকে তার সঙ্গে সাহরি খেতেও একত্র হতে আহ্বান করেছেন। এক হাদিসে এরূপ এসেছে ‘তোমরা বরকতপূর্ণ খানার জন্য আস’। (নাসায়ি)।  মহান আল্লাহতায়ালা সাহরির পূর্ণ বরকত আমাদের লাভ করার তৌফিক দান করুন।  আমিন।

            লেখক : ইসলামী গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর