সোমবার, ১১ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

আন্দোলনে দরকার সুসংগঠিত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল

মেজর মো. আখতারুজ্জামান (অব.)

আন্দোলনে দরকার সুসংগঠিত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল

প্রথমে পরিষ্কার করে বুঝতে হবে, আন্দোলন কাকে বলে এবং কী জন্য। আন্দোলন অনেক রকম হতে পারে। আন্দোলন নড়াচড়া হতে পারে, অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। যেমন আম গাছে পেকে আছে এখন নড়াচড়া বা ঝাঁকি দিয়ে আমগুলো পেড়ে মজা করে খাওয়া যেতে পারে। এই নড়াচড়া বা ঝাঁকিকেও আন্দোলন বলা যায়। আবার যখন একটি ট্রেন ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তখন ট্রেনের ইঞ্জিনটিকে ঠিক  করে আবার চালিয়ে তার গন্তব্যে পাঠিয়ে দিয়ে ট্রেনটির স্থবিরতা থেকে চলমান বা তার অবস্থান পরিবর্তন করাকেও আন্দোলন বলা যায়। তাই বলা যায়, আন্দোলন অনেক কারণে হতে পারে। সময়, স্থান, কাল, পরিবেশ বা পরিস্থিতিতে অনেক রকম হতে পারে। তবে আন্দোলন মানব জীবনে অতি অপরিহার্য একটি প্রক্রিয়া, যা কখনই অস্বীকার করা যাবে না। আন্দোলন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোটারির দৃষ্টিতে খারাপ হতে পারে, কিন্তু আন্দোলন ছাড়া সভ্যতা কখনই সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। তাই ব্যক্তি, সমাজ তথা রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন থাকতে হবে এবং সবাইকে সে আন্দোলনে কোনো না কোনোভাবে শরিক হতে হবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন অনেক আন্দোলনের পাশাপাশি রাজনৈতিক আন্দোলন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার যেমন দেরিতে হলেও মাদকবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করেছে, তেমনি রাজনৈতিক সংস্কার ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ আন্দোলনও আজকে জনঅপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলন তাই এখন একটি অতি আবশ্যক প্রয়োজন হিসেবে জনসম্মুখে দাঁড়িয়ে গেছে। আন্দোলন ছাড়া জনগণের সামনে এখন কোনো বিকল্প নেই বলে ঘরে-বাইরে আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে একটি রাজনৈতিক আন্দোলন এখন গণচাহিদা যা পূরণ হতে সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

সাধারণত ধরে নেওয়া হয় যে, ক্ষমতাসীন সরকারকে তার অবস্থান থেকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করার জন্য যে প্রক্রিয়া করা হয় তাকে রাজনৈতিক আন্দোলন বলা হয়। বর্তমান সরকার একনাগাড়ে প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় আঁকড়ে আছে। ভালো-মন্দ বড় কথা নয়। এক মুখ দেখে দেখে জনগণের কাছে এখন আর ভালো লাগছে না। ক্ষমতা বহুদিন ধরে এক জায়গায় আটকে যাওয়াতে বিকল্প জরুরি এবং জনগণের চাহিদামতো প্রয়োজনীয় কার্যক্রম থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কাছে প্রিয় কাজ বা পদক্ষেপ এখন আর জনপ্রিয় পদক্ষেপ নয়। সরকার ভিন্নমত শুনতে প্রতণ্ডতম অনীহা প্রকাশ করছে। প্রশাসন চূড়ান্তভাবে দলীয়করণ হয়ে গেছে। একটি বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতম হয়েও শিক্ষকের চাকরি দলীয় ক্যাডার না হলে পাওয়া যায় না। গ্রামপুলিশ থেকে বিচারক পদেও দলের লোক ছাড়া কোনো নিয়োগ কেউ পাচ্ছে না। থানার ওসি থেকে আইজি, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব থেকে সচিবালয়ের দোর্দণ্ড প্রতাবশালী সিনিয়র সচিব হতে হলে দলের লোক হতে হয়। এই গেল চাকরির বেলায়। সামাজিক সুযোগ-সুবিধার বেলায়ও একই অবস্থা। বিধবা ভাতা, দুস্থ মাতার ভাতা, বয়স্ক ভাতাও শুধু দলের লোকদের জন্য। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে অনুদান, শিক্ষকদের জন্য এমপিও, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা উপকরণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, সব কিছুর বেলায় দলীয় বিবেচনায় বরাদ্দের একমাত্র পন্থা। এমন কি একটি মসজিদে অনুদান পেতে হলেও দলীয় লোককে মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ দিয়ে দিতে হয়, না হলে সরকারের কোনো অনুদান পাওয়া যায় না। একই অবস্থা দেশের রাস্তাঘাট, বাজার উন্নয়নের বেলায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের বেলায় এই নগ্ন দলীয়করণ আরও বেশি প্রকট। দলের লোক ছাড়া বা দলীয় মস্তান ও মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়া কোনো ব্যবসা বা ঠিকাদারি পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় না কোনো ব্যাংক ঋণ। সব কিছু দলীয় লোকদের কব্জায়। চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, নিয়োগ-পদোন্নতি সব কিছুতেই নগ্ন দলীয়করণ। আজকে অতি স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে হলেও সরকারি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। দেশের নাগরিক বলে কোনো পরিচয় দেওয়ার ক্ষমতা আজ কারও নেই। সবাইকে দলীয় পরিচয়ে বাঁচতে হবে। আজ শ্বাসরুদ্ধকর দুর্বিষহ জীবনের মধ্য দিয়ে জনগণ অতিবাহিত করছে। এই অবস্থা শুধু সরকারি দলের, বিরোধী দলের নয়, সরকারি দলের বিবেকবান মানুষেরও একই অবস্থা। তারা বেঁচে থাকার জন্য চুপ করে থাকে অথবা শুধু হ্যাঁ হ্যাঁ বলে, যাতে তাদেরও কোনো বিপদ না হয়। যদি সরকারি দলের লোকও একটি টুঁ-শব্দ করে তা হলে তাদের পরিণতিও বিরোধী দলের লোকদের চেয়ে আরও কঠিন হবে।

এই বিভীষিকাময় অবস্থা সৃষ্টির জন্য শুধু সরকারি দল বা সরকার এককভাবে দায়ী নয়। এর জন্য সমভাবে দায়ী দেশের সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও। তারা প্রতিবাদ করার সাহস হারিয়ে ফেলেছে। দল ও আদর্শের প্রতি অনুগত না থেকে ব্যক্তির কাছে মাথা বিকিয়ে দিয়েছে। ফলে প্রতিবাদী রাজনৈতিক শক্তির উত্থান না হয়ে তোষামোদির রাজনীতির বিকাশ হয়েছে, যার পূর্ণ সুযোগ নিয়েছে সরকার এবং সরকারি দল। কথায় আছে আদর করে কুকুর পালন করলেও বশে রাখার জন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এমন কিছু নর-নারী আছে, যাদের এক টুকরা রুটি দিলে তারা সারা দিন-রাত পদলেহন করে। তাই জনগণের কল্যাণে কোনো রাজনীতিই আজ কাজ করে না। তাই সম্ভব হয় না কোনো বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলার। দেশের বর্তমান বিভীষিকাময় এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন ছিল একটি শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দল। অথচ বিরোধী রাজনৈতিক দল খুবই অপ্রস্তুত এবং ভীষণভাবে অগোছালো। তা ছাড়া শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী শ্রমিক ও ছাত্র সংগঠন। শ্রমজীবী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা পেশাজীবীরা যখন আন্দোলনে নামে তখন দেশের প্রায় সব শিল্প, অফিস-আদালত, যানবাহনে এর ছোঁয়া পড়ে। শ্রমজীবীরা সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লে তখন দেশের সব এলাকায় আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে এবং অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। একইভাবে ছাত্ররা যখন আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন দেশের সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত তাই বলা হয় আন্দোলনের মূল শক্তি হলো শ্রমজীবী মানুষ এবং তরুণ ছাত্রসমাজ। কিন্তু আজ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, শ্রমজীবী ও ছাত্রসমাজে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক অবস্থান চোখে পড়ার মতো দুর্বল। তা ছাড়া শক্তিশালী শ্রমজীবী ও ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার তেমন কোনো প্রচেষ্টাও বিরোধী রাজনৈতিক দলে দৃশ্যমান নয়। শুধু শ্রমজীবী বা ছাত্র সংগঠন নয়, মূল দলকেও সঠিকভাবে সংগঠিত ও কার্যকরী দল হিসেবে দাঁড় করাতে চরমভাবে ব্যর্থ বিরোধী রাজনৈতিক দল। তার ওপর পরস্পর আদর্শবিরোধী রাজনৈতিক দল বা পার্টি নিয়ে এক ধরনের বিদঘুটে জোট তৈরি করে উদ্ভূত উদ্দেশ্য ও আদর্শহীন রাজনীতির কারণে বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলন ক্ষমতায় জড়তা সৃষ্টি করেছে, যার ফলে আন্দোলনের বিভাজন সৃষ্টি করে সেই আন্দোলনে জনগণকে টানতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আদর্শহীন ও পরস্পর স্বার্থবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে জোট করার কারণে চরম রাজনৈতিক অবস্থায় কেউ কাউকে তাদের পাশে পাচ্ছে না। যেমন জামায়াতের চরম দুর্দিনে জামায়াত বিএনপিকে পাশে পায়নি এবং একইভাবে বর্তমানে বিএনপির চরম দুর্দিনে এখন জামায়াতকে বিএনপির পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। দুটি দলের পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে বড় কোনো আন্দোলনও গড়ে তোলা যাচ্ছে না।

রাজনীতিতে আদর্শ ও লক্ষ্য একটি অন্যতম উপাদান। একটি রাজনৈতিক দলের আদর্শ ও লক্ষ্য দেখে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি হয়। জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন যেই দলের আদর্শে ও লক্ষ্যে দৃশ্যমান, জনপ্রিয়তায় শীর্ষে থাকে সেই দল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শ ও লক্ষ্য নিয়ে জনগণ প্রচণ্ড দ্বিধার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। জনগণ রাজনৈতিক নেতাদের সৎ ও নিষ্ঠাবান দেখতে চায় কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, প্রচলিত নেতা-কর্মীর মধ্যে পরীক্ষিত সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতা-কর্মীর দৃশ্যমান উপস্থিতি খুবই নগণ্য। হাজার হাজার সৎ-নিষ্ঠাবান নেতা-কর্মী থাকলেও সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলের নেতা নির্বাচনে ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতির কারণে ওইসব সৎ-নিষ্ঠাবান নিবেদিত কর্মীরা বিরোধী দলের নেতৃত্বে উঠে আসতে পারছে না। যার ফলে কোনো শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলার নেতৃত্ব বিরোধী দলের রাজনীতিতে এখন প্রচণ্ড অভাব। বিরোধী দলের রাজনীতি এবং সরকারি দলের রাজনীতি এক নয়। সরকারি দলের রাজনীতিতে কোনো ঝুঁকি নেই বা জনগণের সমর্থনের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বিরোধী দলের রাজনীতি বিশেষ করে যখন সব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে একদলীয় চরিত্রের সরকার ক্ষমতায় চেপে বসে তখন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ঝুঁকি থাকে প্রচণ্ডতম এবং তাদের যে কোনো ত্যাগের জন্য থাকতে হয় চরমভাবে প্রস্তুত, তাহলেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষে চরম আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব। তা ছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের থাকতে হয় স্বতঃস্ফূর্ত জনপ্রিয়তা ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা। যার অভাব রয়েছে বিরোধী দলের মধ্যে। তাই বিরোধীদলীয়  নেতারা জনগণকে তাদের কাছে টানতে পারছে না। তা ছাড়া বর্তমান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোতে ত্যাগ করার মনোবৃত্তিসম্পন্ন নেতা-কর্মীর প্রচণ্ড অভাব। বিরোধী দলের রাজনীতি এখন মনোনয়নপ্রত্যাশী নির্বাচন পাগল নেতা-কর্মীতে গিজগিজ অবস্থা। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যান হওয়ার বাসনা থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য পাগল সবাই। কিন্তু বিরোধী দল করে কোনো নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা যে সরকার রাখেনি, তা বোঝার ক্ষমতাও এই নির্বাচন পাগল নেতা-কর্মীদের নেই। এই নির্বাচন পাগল নেতা-কর্মীরা এখন টাকা-পয়সা খরচ করে দলের পদ ক্রয় করার চেষ্টা করছে যাতে নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে কোনো সমস্যা না হয়। এ রকম আদর্শহীন ও নির্বাচন পাগল পদ কেনা কায়েমি স্বার্থবাদী নেতাদের দিয়ে কোনো আন্দোলন তো দূরের কথা, নির্বাচন করে জয়লাভ করাও সম্ভব হবে না। বর্তমান বিরোধী রাজনৈতিক দলে যেমন নেই আন্দোলন করার মতো নেতা, তেমনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিরোধী দলকে ক্ষমতাসীন করার মতো তেমন সংখ্যক নেতাও নেই। দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থার কারণে বিরোধী রাজনৈতিক দল এখন উভয় সংকটে আছে। না আছে তাদের আন্দোলন করার ক্ষমতা এবং না আছে নির্বাচন করে সরকার পরিবর্তন করার ক্ষমতা। অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিল না।

বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থায় জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। সরকার যে পথে এগোচ্ছে তাতে জনগণ সামনে ভালো কিছু দেখতে পাচ্ছে না। হয়তো এই একচ্ছত্র ক্ষমতা অব্যাহত থাকলে শাসকগোষ্ঠী ফুলে-ফেঁপে হাতি হবে; কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে গণতন্ত্র বিলুপ্ত হবে, স্বৈরশাসন পাকাপোক্ত রূপ নেবে, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার বিলুপ্ত হবে এবং সর্বোপরি বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি প্রান্তিকীকরণ হয়ে যাবে।

তাই বিরোধী দলের অস্তিত্বের প্রশ্নে তাদের আন্দোলনে যেতেই হবে। কিন্তু আন্দোলনে যাওয়ার কথা বললেই তো হবে না, তার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই জনগণ মনে করে, অনতিবিলম্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সর্বাত্মক অগ্রাধিকার দিয়ে সংগঠিত করতে হবে। সেই সঙ্গে দলের নেতৃত্বের অনুপস্থিতির দুর্বলতা কাটানোর লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলার দায়িত্ব দিয়ে যে কোনো একজন নতুন সিপাহশালার নিয়োগ দিয়ে দলের সব নেতা-কর্মীকে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য তার অধীনস্থ করে দিতে হবে এবং আন্দোলনের স্বার্থে অনুপস্থিত নেতৃত্ব আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্বে শুধু বিরোধী দল নয়, সমগ্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  বিনয়ের সঙ্গে সব বিরোধী নেতাকে মনে করিয়ে দিতে চাই, এবারের যুদ্ধে হেরে গেলে আগামীতে যুদ্ধ করার সুযোগ নাও আসতে পারে।  তাই এবারের যুদ্ধে জয়ী আমাদের হতেই হবে এবং জয় হবেই হবে।

            লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।

সর্বশেষ খবর