মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

মানুষের কষ্ট যদি মানুষ না দেখে কে দেখবে?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম

মানুষের কষ্ট যদি মানুষ না দেখে কে দেখবে?

ঈদুল ফিতর মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গর্ব ও আনন্দের। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনায় আল্লাহর প্রিয় বান্দা মুসলিম সম্প্রদায় পূত-পবিত্র হয়ে ঈদের জামাতে দুনিয়ার সব বান্দার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে। সেই আনন্দের ঈদ আমরা অনেকটা নির্বিঘ্নে পার করেছি। কিন্তু রাস্তাঘাটে মৃত্যুর মিছিলের যেন শেষ নেই। রবিবার দিনাজপুরের সৈয়দপুরে ১০ জন নিহত হয়েছেন। মহাসড়কে বিভিন্ন শ্রেণির গাড়ি যতদিন থাকবে ততদিন এই মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করা যাবে না। একে তো বড় গাড়ি-ছোট গাড়ি, দ্রুতগতি-ধীরগতির গাড়ি, প্রশিক্ষণহীন চালক, পুরনো ভাঙা গাড়ি— এসবের যতদিন বাছবিচার করা না হবে ততদিন যত্রতত্র দুর্ঘটনার কবল থেকে দেশের মানুষকে বাঁচানো যাবে না। পৃথিবীর বহু উন্নত দেশে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন একেবারে পানি পানি। কিন্তু ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া সে এক মারাত্মক সাধ্য-সাধনার ব্যাপার। জীবন নিয়ে যারা নাড়াচাড়া করে তারা জীবনের মূল্য বোঝে না, এমনকি নিজের জীবনের মূল্যও। তাই তার দ্বারা জীবনহানি ঘটা সে আবার বিচিত্র কি! তা-ই অহরহ ঘটে চলেছে। মানুষও কেমন যেন এসব নিয়ে তেমন আকারবিকার করে না। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এবার যানজট হবে না। যদিও হয় সেটা রাস্তার জন্য নয়, গাড়ির জন্য হতে পারে।’ তিনি চেষ্টার ত্রুটি করেননি। যানজট হয়েছে, কিন্তু তার সফলতা বা চেষ্টাকে কোনোমতেই ফেলে দেওয়া যায় না। সবাই অসম্ভব চেষ্টা করেছেন। সেজন্য মহাসড়কে মানুষের কিছুটা শ্বাস নেওয়ার অবস্থা ছিল। মনে হয় পরের ঈদে উত্তরবঙ্গের মানুষ আরও সুবিধা পাবেন, আরও নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবেন।

এবার পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছিল শুক্রবার। সাহরি খেয়ে শুক্রবার রোজা রেখেছিলাম। কী আনন্দের কথা আবার শুক্রবারই রোজার শেষ। পাঁচ জুমা রোজার মধ্যে অনেক সময়ই পাওয়া যায়। কিন্তু শুরু আর শেষ পাঁচ জুমা খুব একটা পাওয়া যায় না। তাই বড় আনন্দের রমজান পার করেছি। এত লম্বা দিনেও খুব একটা কষ্ট হয়নি। আবার কে রমজান পাবে, কে পাবে না তা শুধু স্রষ্টাই জানেন, আমরা জানি না। যারা আল্লাহ-রসুলকে মানেন, যাদের হৃদয়ে মানবতার অঙ্কুর বিরাজমান তাদের কাছে কলমা-নামাজ-রোজা-হজ-জাকাত এসবের মূল্য একরকম আর যারা মানেন না তাদের কাছে অন্যরকম। আমরা ক্ষণিকের জন্য দুনিয়ায় এসে কতই না বাহাদুরি করি, কতই না ক্ষমতা দেখাই। মহান স্রষ্টা তাঁর ইচ্ছা পূরণে আমাদের জগত্সংসারে পাঠিয়েছেন আবার সময় শেষে ডেকে নেবেন। এই সামান্য ছুট আমরা অনেকেই হৃদয় দিয়ে ভাবতে পারি না। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলতে পারি না, চলিও না। কত মানুষের দুঃখ-কষ্ট কেউ ভ্রূক্ষেপ করি না। যারা সুখে আছে তারা সুখ নিয়ে ব্যস্ত। তাদের আরও আরও আরও চাই। যাদের নেই তাদের মুখে হাত তোলার জোর নেই। আবার কিছু বিত্তশালী রাস্তাঘাট বন্ধ করে পোঁটলা বিতরণ করে, তাদের অহংকারের সীমা নেই। আল্লাহর কাছে রাজা-উজির-ফকির-মিসকিনের কোনো তফাত নেই। কেউ চিন্তা করে না সকালবেলার আমির রে ভাই ফকির সন্ধ্যাবেলা। তবু আল্লাহর প্রতি হাজারো শুকরিয়া মোটামুটি ভালোভাবেই দিনটা গেছে, তেমন কোনো গোলমাল হয়নি। বছরটা আমাদের আনন্দে-স্বচ্ছন্দে আল্লাহর নৈকট্যে কাটুক— এ কামনাই করি।

ছোট্ট একটা শহরের বাসিন্দা। জন্ম হয়েছে কালিহাতী থানার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটি গ্রামে। ভালো ও ধার্মিক হব আশায় নাড়ি পোঁতা হয়েছিল বাড়ির মসজিদের গা-ঘেঁষে। জানি না সেজন্য গ্রামের মসজিদ আমায় টানে নাকি মসজিদের পাশে বাবা-মা শুয়ে আছেন তারাই টানেন। কিন্তু গ্রামের পরিবেশ আমায় সত্যিই আকুল করে। যখনই গ্রামে যাই, মসজিদে বসি, কবর জিয়ারত করি অন্য জগতে চলে যাই। বুঝি না কেমন লাগে, তবে অন্যরকম একটা ভালো লাগা। সে ভালো লাগা ব্যক্ত করার নয়, শুধু অনুভব শুধু হৃদয়ঙ্গম করা যায়। এবারও ঈদের মাঠ থেকে সোজা বাবা-মার কবরে গিয়েছিলাম। তেমন কেউ জানত না তাই লোকজন ছিল না। দরে নামে মসজিদের মুয়াজ্জিন পাশেই বাড়ি বলে ছুটে এসেছিল আর এদিক-ওদিক থেকে কিছু মানুষ। তাতে কিছু মহিলা ও বাচ্চা ছিল। সাহস করে পকেটে হাত দিতে পারিনি। দু-চার টাকা দিতে চাইলেও সবাই হাত পাতার কারণে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে কিছুই দেওয়া যায়নি। আমার স্ত্রী দুই বছর আগে মেয়েদের হাতে ৫০ টাকা করে দিতে গিয়ে মারাত্মক অসুবিধায় পড়েছিলেন। পুরো গ্রামে ৮০০-৯০০ মানুষ। তিনি সবাইকে দিতে পারেননি। কেউ তিন-চার বার করে নিয়েছে, কেউ একবারও পায়নি। তাই তাকে আর হাত খুলতে দিইনি। পাঁচ-ছয় জন এমন ছিল যারা পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু সাহসের অভাবে বা আলাদা করে তাদের দিলে তারা যে ভালো থাকবে তেমন নয় বলে একেবারে খালি হাতে ফিরে এসেছিলাম। পরে অভাবী লোকদের কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বয়স হয়েছে, সামান্য হলেও রোজার প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে ঈদের দিন। অন্যদিন সাহরি খেতে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে শুয়েও খুব একটা ঘুম আসে না। কিন্তু এক মাস পর ফজরের নামাজ পড়ে গোসল সেরে ঈদের মাঠে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে হয়। একটু হলেও অসুবিধা হয়। অনেকে মসজিদে ঈদের জামাত পড়ে। কিন্তু দুই ঈদের জামাত সম্পর্কে কোরআনে নির্দেশ মাঠে পড়ার। তাই মসজিদে পড়া খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়। আবহাওয়া খারাপ থাকলে মসজিদে ঈদের জামাত করা সে ভিন্ন কথা। কিন্তু যে কোনোভাবেই উন্মুক্ত মাঠে ঈদের জামাত করাই উত্তম। আমরা টাঙ্গাইল শহরে বাস করি সেও প্রায় ৭০ বছর। ৫০-৫৫ বছর টাঙ্গাইল পার্ক ময়দানে ঈদের নামাজে যাই। মাঝে একবার দুর্যোগের কারণে বড় মসজিদে ঈদের জামাত করেছি। তা ছাড়া ১২-১৪টি জামাত হাতছাড়া হয়েছে যখন নির্বাসনে ছিলাম। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ২০ নভেম্বর ঈদুল ফিতরের জামাতে নামাজ পড়া হয়নি। সেদিন ছিলাম মটরাতে। সেদিন সেখানে জামাত হয়নি। স্বাধীনতার পর কোরবানি ঈদের জামাত পড়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধের প্রাণকেন্দ্র বহেরাতলীতে। তা ছাড়া প্রায় জামাতই টাঙ্গাইল পার্ক ময়দানের ঈদগাহতে পড়েছি। এবারও সেখানে শরিক হয়েছিলাম। নামাজিতে মাঠ পরিপূর্ণ ছিল। আবহাওয়া ছিল মনোরম। তাই নামাজিদের তেমন কষ্ট হয়নি। পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন এবং ছানোয়ার হোসেন এমপি নামাজিদের উদ্দেশে দুই কথা বলার চেষ্টা করেছেন। মেয়র মিরন ও জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন দুই কথা বলতে পারলেও ছানোয়ার হোসেন তেমন কিছুই বলতে পারেননি। কারণ নামাজিরা দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। ঈদের মাঠে অনেকেই অনেক কথা বলতে চান। তবে ঈদের মাঠে রাজনীতি করা ভালো নয়। কিন্তু এটা অনেকেই বুঝতে চান না। তবু সুন্দর একটি জামাত হওয়ার জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামিনের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এবার দেশে-বিদেশে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। প্রত্যক্ষ শুভেচ্ছার চেয়ে টেলিফোন অনেক বেশি। মন্ত্রী, সম্মানিত নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি কেউ বাদ যাননি। এবার আমি যা করেছি, পেয়েছি তার চেয়ে শতগুণ বেশি। সেখানে সাংবাদিক-সাহিত্যিক-ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-কৃষক সব শ্রেণির লোকজন ছিল। বড় দলের বড় নেতাদের এবার আগ্রহ দেখলাম বেশি, মন্ত্রীদের আরও বেশি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে কয়েকবার ফোন করে পাইনি। একটু পরই তিনি ফোন করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছিলেন। খুব একটা জরুরি প্রয়োজন না থাকলে রাত ১১টার বেশি জাগি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কয়েকবার ফোন করে না পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তিনি রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ফোন করেছিলেন। তাই বুঝতে পারিনি। পরদিন ঈদ মুবারক জানাতে ফোন করার সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আপনাকে অনেক রাতে ফোন করেছিলাম।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন যে ভালোবাসি, সম্মান ও স্নেহ করি। তার কাজকর্মে দিন দিন ভালোবাসা-মায়া-মমতা বেড়েছে, কখনো বিন্দুমাত্র কমেনি। সব সময়ই আশা করি সবার প্রতি যেন অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও মমতা রেখে মরতে পারি।

ছোট্ট শহর টাঙ্গাইল। জেলা হয়েছে স্বাধীনতার এক বছর আগে। তার আগে আমরা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার গর্বিত সদস্য ছিলাম। ব্রিটিশ ভারতে বৃহত্তর জেলা ছিল ময়মনসিংহ আর মহকুমা টাঙ্গাইল। এখন বোধহয় উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর ভারতের সব থেকে বড় জেলা। আমরা স্বাধীনতার এক বছর আগে টাঙ্গাইলবাসী জেলার অধিবাসী হলেও ১০০ বছর আগে আমরা মহকুমা হয়েছিলাম। তার আগে টাঙ্গাইল কোনো শহর ছিল না। প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল আটিয়া। মোগল আমলে বারো বাজুয়া নামে মূল প্রশাসন ছিল আটিয়ায়। এখন আটিয়া একটা সাধারণ গ্রাম থেকেও অন্ধকার। সেখানে বাবা আদম কাশ্মীরির মাজার না থাকলে রওজা মুবারক না থাকলে হয়তো আরও অন্ধকার থাকত। তাই এটা মোটেই মিথ্যা নয়, একদিনে ঘাট আরেকদিনে অঘাট হয়। চোখের সামনে কত অঘাট ঘাট দখলাম আবার ঘাট অঘাট হতে কত দেখেছি। যখন পুল ছিল না তখন পুংলী নদীর পাড় গমগম করত। কালিহাতী ফেরিঘাট লোকারণ্য থাকত। গত বছর রৌমারী, চিলমারী থেকে ফেরার পথে বাহাদুরাবাদ ঘাটের করুণ দশা দেখে শিহরিত হয়েছিলাম। যেখানে ছিল লাখো কোটি টাকার ব্যবসা, হাজার হাজার লোকের সমাগম সেখানে গাছের পাতা পড়ে আছে, কোনো শ্রী নেই, একেবারে ম্রিয়মাণ। জগন্নাথগঞ্জ ঘাট তো অনেক আগেই মরে গিয়েছিল। যমুনা সেতু চালু হওয়ার আগে ভূঞাপুর-গাবসারা-নলডাঙ্গা-সিরাজগঞ্জ ঘাট ছিল জমজমাট। এখন সেখানে কেউ নেই, কিছুই নেই। এমনই হয় ঘাট অঘাট, অঘাট ঘাট।

টাঙ্গাইল মহকুমা হয়েছিল সে প্রায় দেড় শ বছর আগে, জেলা হয়েছে ৫০ বছর। কিন্তু রাস্তাঘাট বাড়েনি। মানুষ বেড়েছে ১০-২০ গুণ। অন্যদিকে শহরে এদিক থেকে ওদিক যাওয়ার একমাত্র ভিক্টোরিয়া রোড, আশপাশে সড়কগুলো কোনটায় ড্রেন কোনটায় মেরামত এমনি নানা কারণে বন্ধ হয়ে আছে। চলছে শুধু আমার বাড়ির পাশ দিয়ে জেলা সদর রোড, অন্যদিকে ভিক্টোরিয়া রোড যেটা নিরালা মোড় দিয়ে এক হয়ে গেছে। সাধারণ সময়ই এই সড়ক দিয়ে চলা যায় না। ঈদ-পূজা-পার্বণের সময় তো আরও মুশকিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং পৌরসভাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারা যায় না। তারা পুলিশ, কমিউনিটি পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবক ও অন্য লোকজন দিয়ে রাতদিন পরিশ্রম করে এবার ঈদে রাস্তা অনেকটা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এজন্য অবশ্যই তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ভিক্টোরিয়া রোডে অত মানুষ এবং যানবাহন সচল রাখতে পারায় আমার কেন যেন মনে হয়েছে মহাসড়কে যদি আরেকটু যত্ন নেওয়া যেত তাহলে দূরদূরান্তের মানুষকে নিদারুণ কষ্টের হাত থেকে অবশ্যই অনেকটা মুক্তি দেওয়া যেত। এ বছর যদি ঈদের বাজারেও গাড়ি-ঘোড়া সচল রাখা যায় তাহলে স্বাভাবিক সময়ে কেন স্বাভাবিক রাখা যাবে না? সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, পুলিশ প্রশাসন ও অন্যদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ— মানুষের কষ্ট যদি মানুষ না দেখে তাহলে কে দেখবে? বৃদ্ধ যাত্রীরা, শিশুরা যানজটে পড়ে কী যে দুঃসহ কষ্ট ভোগ করে তা অনেকবার প্রত্যক্ষ করেছি। বিশেষ করে অ্যাম্বুলেন্সে রোগীরা যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকে, অনেকে রাস্তায় মারা যায় তখন তাদের বুকফাটা কান্নায় আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে, কেন আমাদের বুক কাঁপে না? আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন এ বছরটা আমাদের যানজটমুক্ত স্বস্তি এবং শান্তিতে কাটাতে দেন। ঈদ মুবারক, ঈদ মুবারক।

লেখক : রাজীতিক।

সর্বশেষ খবর