রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিএনপি-জামায়াতকে নিতে হবে কেন আওয়ামী লীগে

নঈম নিজাম

বিএনপি-জামায়াতকে নিতে হবে কেন আওয়ামী লীগে

আওয়ামী লীগ অফিসের হৃদয়ের কথা কি কারও মনে আছে? হৃদয় পত্রিকা অফিসগুলোতে আসতেন প্রেস রিলিজ নিয়ে। বলতেন, সিদ্দিকুর রউফ, আবদুল মান্নান অথবা মৃণালদা পাঠিয়েছেন। হেঁটে হেঁটে, রিকশায় রোদ বৃষ্টি ঝড় উপেক্ষা করেই ছিল হৃদয়ের পথ চলা। সেই হৃদয় নেই। সিদ্দিকুর রউফ গত হয়েছেন। আবদুল মান্নান টিকে আছেন কোনো মতে। মৃণালদা এখন এমপি। মাঝে মাঝে তার সঙ্গে দেখা হয়। সেই সময়টা ছিল অন্যরকম। সেই সময় এখন আর নেই। রাজনীতি, অর্থনীতি সমাজ চিন্তায় অনেক পরিবর্তন। নিজেকে আজকাল সেকালে মনে হয়। বয়স বাড়ছে হয়তো। ভালো না মন্দ জানি না। তবে পুরাতন মানুষগুলোর অবমূল্যায়ন ভালো লাগে না। ঢাকার দুই মেয়র আনিসুল হক ও সাঈদ খোকনের সঙ্গেই নির্বাচিত হয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দিন। ঢাকার মেয়ররা মন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন। চট্টগ্রামের মেয়রকে কিছুই দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গে নির্বাচিত অন্য মেয়ররা তখনই মর্যাদা পেলে তার বিষয়ে কার্পণ্য কেন? একজন আ জ ম নাছির একদিনে তৈরি হননি। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় তিনি আজকের অবস্থানে। নাছির দুঃসময়ের কর্মী শেখ হাসিনার। জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন বারবার। ক্ষমতাসীন থেকে জামায়াত-শিবির মোকাবিলা আর আশির দশক চট্টগ্রামে এক ছিল না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসমাজ নেতা হামিদের হাত কেটে নেওয়া, চট্টগ্রাম কলেজ হোস্টেলে ছাত্রলীগ নেতাদের জবাই এখনো দুঃস্বপ্ন সেই সময়ের নেতাদের চোখে। দুঃসময়ের মানুষগুলোকে সুসময়ের পাল্লায় ভুলে গেলে চলবে না। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে সংস্কৃতি অঙ্গনের তেমন মানুষদের দেখতাম না। আশির দশকে আলমগীর কুমকুম, সালাহউদ্দিন বাদল, আবদুল কাদেরসহ কয়েকজন মিলে নায়ক ফারুক আর এ টি এম শামসুজ্জামানকে নিয়ে মাঠে থাকতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে নায়ক ফারুকদের কোথায়ও চেয়ারে দেখি না। অথচ বিএনপি কিংবা তারেক রহমানকে নিয়ে গান রচনাকারীরা বা গায়ক-গায়িকারা এমপি হন। চেয়ারে বসেন। বড় অদ্ভুত! লন্ডন, দিল্লি, পিআইবির নিয়োগে সুভাষ চন্দ্র বাদল, জাফর ওয়াজেদ, ওবায়দুল কবীর, প্রণব সাহাদের নাম দেখি না। প্রণব আমার পরে ভোরের কাগজে আওয়ামী লীগ বিট শুরু করেন। বলা যায় আমার হাত ধরেই। সেই দিনগুলোর সঙ্গে এখনকার হিসাব-নিকাশ মেলানো যাবে না। এখন সব কিছুই ডিজিটাল। সব কিছু আধুনিক। কিন্তু এখন আন্তরিকতা নেই। আছে কৃত্রিমতা। ২০০১ সালের পর অনেক সাহসী মানুষকে শেখ হাসিনার পাশে দেখেছি। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। এখন আর তাদের দেখি না। ধানমন্ডি সিটি কলেজের পাশে সাবেক সচিব মোকাম্মেল হকের নেতৃত্বে একদল কর্মকর্তা বসতেন। এই অফিসটি ছিল স্টামফোর্ড ভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. হান্নান ফিরোজের। আলাহউদ্দিন চৌধুরীর অনুরোধে তিনি এই অফিসটি দিয়েছিলেন। হান্নান ভাইয়ের সামনে ছিলাম আমি। মোকাম্মেল সাহেবের সঙ্গে মাঝে মাঝে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখা হয়। দুঃসময়ের মানুষগুলো ছিটকে পড়লে ভালো লাগে না।

জীবন চলার পথে অনেক ভুল বোঝাবুঝি থাকে। চিন্তার পার্থক্য থাকে। অনেক সময় অন্যের প্ররোচনায় আপনজন দূরে সরে যায়। মানবজীবন বড় অদ্ভুত। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃণালিনীর কথা অনেকেরই জানা। এক সময় হেমচন্দ্র মৃণালিনীর জন্য রাজ্য ত্যাগ করে মথুরাবাসী হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গুরুর প্রতি শব সন্ধান করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, গৌড়ে নিজের ব্রত বিস্মৃত হয়ে ভিখারিনির তোষামোদ করেছিলেন। অথচ অপরের কথায় মৃণালিনীকে দুশ্চরিত্রা বিবেচনা করেন। মৃণালিনীর পত্র পাঠ না করে তা ছিন্ন ভিন্ন করেন। তার দূতকে বেত্রাঘাত করতে চেয়েছিলেন। তাই বলে তিনি কি ‘মৃণালিনীকে ভালোবাসিতেন না, তা নয়।’ রাগ, অভিমান ও ক্ষোভের সময় রাজ্য ত্যাগ করে মথুরাবাসী হওয়াসহ তখন কোনো কিছুই মনে ছিল না। তাই পরিবর্তনের পর তীব্র ক্ষোভ নিয়ে, ‘মাধবাচার্যকে শূল দেখিয়েছিলেন।’ বলেছিলেন, ‘মৃণালিনীকে এই শূলে বিদ্ধ করিব।’ এত কিছুর পরও মৃণালিনীর প্রতি ভালোবাসা শেষ হয়ে গিয়েছিল? হেমচন্দ্র ও মৃণালিনী কাহিনী বঙ্কিম আরও অনেক দূর নিয়েছিলেন। আমাদের রাজনীতি, সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনের পরতে পরতে কত কিছুই না লুকিয়ে আছে। যার কোনো হিসাব-নিকাশ নেই। হিসাব চাইলেও আমরা মেলাতে পারব না। স্নেহ ভালোবাসার বন্ধনগুলোও ক্ষণে ক্ষণে বদল হয়। কিন্তু কিছু কিছু সম্পর্ক টিকে যায়, টিকে থাকে। যার কোনো শেষ থাকে না। এখানে বাস্তবতা আর আবেগ মিলেমিশে থাকে একাকার। প্রতিযোগিতা আগে ছিল, এখনো আছে। কিন্তু নষ্ট রাজনীতি আমাদের কষ্ট দেয়।

আমার এখনো মনে আছে, ২০০১ সালের পরের কিছু ঘটনা। নাঙ্গলকোটের কষ্টে থাকা মানুষগুলো প্রতিদিন আমার বাসায় ভিড় করত। জয়নাল আবেদীন ভূইয়া ভাই অনেক সময় তাদের আমার কাছে পাঠাতেন। কারও বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। কারও হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে হয়েছে মিথ্যা মামলা। আমি জামিনের জন্য পাঠাতাম আবদুল বাছেদ মজুমদারের কাছে। আমি পাঠালে তিনি টাকা একদম কম নিতেন। অনেক সময় নিতেনও না। বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের শ্যামপুর ও নূরপুরে আওয়ামী লীগের দুজন কর্মীকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করা হয়। একদিন সন্ধ্যায় আমি সেই গ্রামে গিয়েছিলাম। আমাকে অনেকে বলেছিলেন, আপনি যাবেন না। আপনাকেও খুন করবে। আমি বললাম, খুন হলে হব। সাহসী যে আওয়ামী লীগ কর্মীরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন আজ তারা কোণঠাসা। হামলার নায়কদের বেশিরভাগ এখন আর বিএনপি-জামায়াতে নেই। তারাও এখন আওয়ামী লীগ নেতা। এই রাজনীতি আমার ভালো লাগে না। সুস্থ ধারার রাজনীতি নেই। আওয়ামী লীগে কর্মীর অভাব নেই। বিএনপি-জামায়াতকে নিতে হবে কেন? যে কর্মীদের ওপর ভরসা করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় তাদেরই সঙ্গে রাখতে হবে। আমি সুস্থ ধারার রাজনীতি চাই। হত্যা খুন মামলা হামলার রাজনীতি চাই না। ভালো লাগে যখন দেখি হাসান উদ্দিন সরকারকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন গাজীপুরের নতুন মেয়র জাহাঙ্গীর। আমি আপ্লুত হই এমন দৃশ্যে। এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমাদের ছিল এক সময়। ২০০১ সাল থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি যুক্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে সুস্থতা। সব কিছু ধ্বংস করে চলার মাঝে কোনো গৌরব নেই। বিশ্বাস-অবিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের আগামীর পথে এগিয়ে যেতে হবে।

অকারণে রাজনৈতিক বিতর্ক ডেকে আনার কোনো দরকার নেই। সেদিন বিএনপির একজন নেতা বললেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্বাধীনতার পর সাপ্তাহিক বিচিত্রায় জিয়াউর রহমানের প্রকাশিত লেখাতেই গাইড লাইন রয়েছে দলটির জন্য। ইতিহাস বিকৃতির দরকার নেই। ’৯১ সালে ভোটে জয়ী হওয়ার পর পত্রপত্রিকার জন্য খালেদা জিয়ার জীবনী তথ্য অধিদফতর থেকে পত্রিকা অফিসে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে রয়েছে তার জন্মতারিখ। পরে অতি চাটুকাররা সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ আগস্ট জন্মতারিখ তৈরি করে। যার কোনো দরকার ছিল না। ইতিহাসে যার যা অবদান তার মূল্যায়ন করতে হবে। ’৯১ থেকে ’৯৬ সালে খালেদা জিয়ার শাসনের সময় ইতিহাস বিকৃতি বা খুনোখুনি তেমন ছিল না। ভুলগুলো এলো ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর। চট্টগ্রামে ট্রাকে ট্রাকে অস্ত্র উদ্ধার প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, শাহ এস এম কিবরিয়া, আহসান উল্লাহ মাস্টারদের হত্যালীলা প্রতিহিংসার রাজনীতির জন্ম দেয়। ২০০১ সালের ভোটের পরের তাণ্ডবলীলাও এখনো মানুষের মনে দাগ কেটে আছে। অপারেশন ক্লিনহার্ট শুরুর আগ পর্যন্ত এক ভীতিকর অবস্থা ছিল দেশে। যা মানুষ এখনো ভুলতে পারছে না। এত কিছুর পরও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ভাবতে হবে। খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর আইন ভেঙে সরকার শুরুতেই ফাতেমাকে থাকার অনুমতি দিয়েছে। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটিকে বৈঠক করতে সুযোগ দিয়েছে। তাহলে চিকিৎসা নিয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল না ইউনাইটেড বিতর্কের দরকার নেই। খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দিলে কী সমস্যা? তাকে এই সুযোগ দিলে সরকারের কোনো ক্ষতিও নেই। রাষ্ট্র এত খরচ করতে না চাইলে খালেদার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু সবুর খানকে মুক্তি দিয়েছিলেন। শাহ আজিজুর রহমানের পরিবারকে মাসে মাসে অর্থ দিতেন। আ স ম রব গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। মধু মিয়ার মুক্তির গল্প শুনেছিলাম সৈয়দ রেজাউল হায়াতের কাছে। শাহ আজিজ, সবুর খানদের গল্প শুনেছি তোফায়েল আহমেদের কাছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনকের কন্যা। তার কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ রাজনীতিবিদ নিতে জানে, দিতে জানে না। কিছু কিছু নেতা আছেন আলাদা। শেখ হাসিনা কাজ করেন বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে। তিনি অর্থনীতির নতুন গতিপথ সৃষ্টি করেছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, আজ বিশ্ব রাজনীতিতেও তার অবদান প্রশংসিত। পার্বত্য শান্তি চুক্তি আর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে তিনি এখন বিশ্ববাসীর কাছে মানবতার নেত্রী। এই বিশাল বাজেট, বেসরকারি খাতের বিকাশ, অর্থনৈতিক বিপ্লবের নতুন দিগন্ত তার তৈরি। হিংসা, প্রতিহিংসার রাজনীতি শেখ হাসিনা করেন না। মানবতার জন্যই তার রাজনীতি।

আর রাজনীতি ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। রাজনীতি নিয়ে সত্য-অসত্যের লড়াই সব সময় ছিল, এখনো আছে, আগামীতে থাকবে। ব্যক্তিবিশেষ ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর বাড়াবাড়িতে শেখ হাসিনার অর্জন ম্লান হোক চাই না। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শেষ ঠিকানা। এক কঠিন সময়ে তিনি দলের হাল ধরেছিলেন। দল ও দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। ঝড়ঝঞ্ঝার পাহাড় ডিঙিয়ে তার আজকের অবস্থান। ’৭৫ আগস্টের শোক না কাটাতেই নিজে বারবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। হারিছ চৌধুরীকে পাওয়া গেলে ইতিহাসের হয়তো অনেক অজানা অধ্যায় বেরিয়ে আসত। জানা যেত কারা কী কারণে ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল? জাতির সামনে সেই রহস্য উন্মোচন জরুরি। বাংলাদেশের একটি সুন্দর আগামীর জন্যই তা করতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা শুধু একটি দলের নেতা নন, তিনি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শেষ ঠিকানা। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ রক্ষায় খেয়াল রাখতে হবে— শেখ হাসিনার রাজনীতির গায়ে যেন আঁচড় না লাগে। আর এটাও সত্য দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজন। যেখানে সরকার ও বিরোধী দল ইতিবাচক ধারায় কাজ করবে। কারণ রাজনীতির বাইরে কোনো কিছুই নয়।

এমনকি শিল্প সংস্কৃতিও না। কবি নজরুল কি রাজনীতিতে জড়াননি? কবি নজরুল বাংলাদেশের ফরিদপুর থেকে নির্বাচনেও অংশ নিয়েছিলেন। এক হিন্দুু জমিদারের কাছে পরাজিত হন অল্প ভোটে। মাত্র ২২ বছর বয়সে লেখেন বলবীর। আর রবীন্দ্রনাথ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। সমর্থন দিয়েছিলেন গান্ধীজির অসহযোগ আন্দোলনকে। কবি নির্মলেন্দু গুণ ’৯১ সালে কুমির মার্কা নিয়ে ভোটে লড়েন নেত্রকোনা থেকে। তার সমর্থনে ভোটের প্রচারণায় যান লেখক হুমায়ূন আহমেদ। নির্মলেন্দু গুণ জয়ী হননি। শিল্প সংস্কৃতির অনেক মানুষ রাজনীতিতে সরাসরি না থাকলে সবাই দেশের কল্যাণ চান। সংঘাত কেউই দেখতে চান না। আর সুন্দর সংঘাতহীন রাজনীতির মাধ্যমে শেখ হাসিনাই পারেন দেশকে এগিয়ে নিতে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে ধরে রাখতে।

            লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সর্বশেষ খবর