শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

সমস্যার নাম টোল-প্লাজা

চাই কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল মনোভাব

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর টোল-প্লাজা যেন এক অভিশাপের নাম। কদিন পরপরই এ এলাকায় দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছিল দেশের অর্থনীতির রক্ত সঞ্চালনকারী এই গুরুত্বপূর্ণ পথে গতি সৃষ্টি করার জন্য। কিন্তু টোল-প্লাজা সে উদ্দেশ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোল আদায়ে সময় ক্ষেপণ কিংবা বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ কোনো গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে দেখা দেয় যানজট। সে যানজট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গতিকে কেড়ে নিচ্ছে। এ সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য ডেকে আনছে বিড়ম্বনা। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করা হলেও মাঝপথে বিকল হয়ে পড়া যানবাহন চটজলদি সরিয়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কোনো কারণে যানবাহন সরাতে দেরি হলে টোল-প্লাজা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট অনিবার্য হয়ে ওঠে। যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষই শুধু নয়, পণ্য আটকা পড়ায় দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ ডেকে আনে। যানজটের কারণে সাইনবোর্ড থেকে মদনপুর পর্যন্ত ১৫-২০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে কখনো কখনো আট ঘণ্টা কেটে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াতকারী যানবাহনের সংখ্যা অজস্র। কিন্তু টোল-প্লাজার টোল আদায়ের সক্ষমতা এতই সীমিত যে সময় ক্ষেপণ অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। টোল আদায়ের আটটি কাউন্টার দিয়ে আটটি গাড়ি ক্লিয়ার করা যায়। এ ক্ষেত্রে গতি আনা সম্ভব হলে সমস্যায় লাগাম টানা যাবে। তবে একই সঙ্গে অচল গাড়ি দ্রুত সরানোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও থাকতে হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট অসহনীয় পর্যায়ে ওঠার পেছনে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি যানবাহনের একাংশের উল্টো পথে চলাও অনেকাংশে দায়ী। টাকা আদায়ে চালকের সঙ্গে দালালদের বাগিবতণ্ডাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। যানজট সমস্যার সমাধানে হাইওয়ে পুলিশসহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের এ ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। এটি তাদের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর