সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

আস্থার পরিবেশ সবার জন্য অনুকরণীয়

সন্ত্রাস ও মৌলবাদ প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি তাকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। ভারত সরকারের নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সহযোগিতার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। সন্ত্রাস ও মৌলবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দুই প্রতিবেশী দেশের বন্ধুত্বকে বেগবান করেছে। দুই দেশের আস্থার সম্পর্ক বন্ধুত্ব জোরদারই শুধু নয়, অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি সব প্রতিবেশী দেশের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সুখবর বয়ে আনছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাস কঠিন প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সমর্থন জোগাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অপরাধ প্রবণতায় সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে দুই দেশের আন্তরিকতার কারণে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড ও গবাদিপশু পাচার সন্তোষজনক পর্যায়ে কমিয়ে আনা সম্ভবও হয়েছে। সীমান্তে অপরাধ মুক্ত জোন গঠনও এক বড় অগ্রগতি। আশা করা হচ্ছে, একপর্যায়ে পুরো সীমান্ত এলাকাকে অপরাধমুক্ত করার ক্ষেত্রে তা ক্রমান্বয়ে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর সম্পর্ক জোরদার হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সহযোগিতার কারণে। হাজার হাজার ভারতীয় সেনা জীবন দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যদের রক্তদানের ঘটনা দুই দেশের মৈত্রীর সম্পর্কে যে অমরত্ব দান করেছে তা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার কারণে।  সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স নীতি দুনিয়াজুড়ে প্রশংসিত। দক্ষিণ এশিয়ায় আস্থার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের অনুসৃত নীতি অন্যদের জন্যও অনুকরণীয় বলে বিবেচিত হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর