সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজধানীর উন্নয়ন

সমন্বয়হীনতার অবসান ঘটাতে হবে

রাজধানীর উন্নয়ন নিয়ে নাগরিক অসন্তোষ বেড়েই চলছে। উন্নয়ন কাজে সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি নিম্নমান সেবা বৃদ্ধির বদলে নগরবাসীর ট্যাক্সের টাকার অপচয় ঘটাতে সহায়তা করছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একটি বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাথ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রভাব মূল্যায়ন করতে গিয়ে যে সমীক্ষা চালিয়েছে তাতে অসন্তুষ্টির বিষয়টি ধরা পড়েছে। সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা ও নর্দমা উন্নয়ন করলেও জলাবদ্ধতা কমার বদলে বেড়েছে। ফুটপাথগুলোর উন্নয়নে হাঁটার রাস্তা বাড়লেও তা ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে মনে করেন বেশির ভাগ নাগরিক। নর্দমা তৈরির পরেও বেড়েছে মশার উপদ্রব। নিম্নমানের কাজ আর সমন্বয়হীনতায় বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অংশে উন্নয়নের কাজ সারা বছরই চলে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রভাব নিয়ে করা এক জরিপে ৮৮ ভাগ নাগরিক জানিয়েছেন, নর্দমা নির্মাণের পরও প্রকল্পভুক্ত এলাকার জলাবদ্ধতা থেকে তারা রেহাই পাচ্ছেন না। ৭৯ ভাগ বলেছেন, বৃষ্টি হলেই তাদের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং কমপক্ষে দুই-তিন ঘণ্টা এবং কোনো কোনো এলাকায় সর্বোচ্চ চার দিন পর্যন্ত পানি জমে থাকে। ৭২ ভাগ উত্তরদাতা জানিয়েছেন, নর্দমা নির্মাণের পর জলাবদ্ধতার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। মাত্র ১০ ভাগ জানিয়েছেন, তাদের অঞ্চলে জলাবদ্ধতা আগের চেয়ে কমেছে। বেশির ভাগ উত্তরদাতার মতে, রাজধানীতে শব্দ দূষণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ধুলাবালির পরিমাণও। রাজধানীর উন্নয়নে সরকার ও সিটি করপোরেশনের তোড়জোড়ের অভাব নেই। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে দুই সিটি করপোরেশনসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে একের পর এক কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়ন কাজে সমন্বয়ের অভাব এবং মানহীন কাজের জন্য তা নাগরিকদের সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধানে রাজধানীর উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।  উন্নয়ন কাজের নামে লুটপাটের সুযোগ বন্ধে কঠোর হতে হবে।  রাজধানীবাসীর সেবাদানের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি সংস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতেও নিতে হবে উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর