মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

হজযাত্রায় অনিয়ম

এজেন্সিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনুন

হজযাত্রা নিয়ে অনিয়ম ও হয়রানির ঘটনা প্রতি বছরই ঘটেছে। আল্লাহর মেহমানদের সঙ্গে হজ এজেন্সিগুলোর একাংশের অসংগত ভূমিকা প্রতি বছরই সংকট ডেকে আনছে। হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা ও অঙ্গীকারের অভাব না থাকলেও হজ এজেন্সিগুলোর একাংশের দায়িত্বহীন আচরণের কারণে প্রতি বছর ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। লোকসানের সম্মুখীন হয় রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা। সরকারের সুনামের জন্যও তা বিড়ম্বনা ডেকে আনছে। হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পরও এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৪৯ জন হজযাত্রীর কোনো বিমান টিকিট ইস্যু করা হয়নি। এমনকি টিকিটের জন্য কোনো পে-অর্ডার ইস্যু করেনি ৫৬টি এজেন্সি। চলতি বছর সৌদি সরকার সে দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত কোনো শ্লট দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও সময়মতো বিমানের টিকিট সংগ্রহ না করা হজযাত্রায় যে বিঘ্ন ঘটাবে তা সহজে অনুমেয়। প্রথম দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ভাড়া করা বিমান দিয়ে হজ ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হয়েছে। দেনদরবারের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। চলতি বছর মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী। ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে গত রবিবার পর্যন্ত ভিসা হয়েছে ৩৬ হাজার ৪৭১ জনের। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৩০২ আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩০ হাজার ১৬৯ জন। অভিযোগ রয়েছে, হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পরও হজ এজেন্সি মালিকদের অনেকেই সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। বাড়ি ভাড়া করতে দেরি হওয়ায় তারা সময়মতো দেশে ফিরতে পারেননি। ফলে হজযাত্রীদের জন্য বিমানের টিকিট কেনা ও ভিসা সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় তারা পিছিয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্রথম দিকের অনেক হজ ফ্লাইট হয়তো কম হজযাত্রী নিয়ে ছাড়তে হবে। শেষ দিকে সব হাজীকে সৌদি আরবে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে হজের ফ্লাইট পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমরা আশা করব হজযাত্রা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকার হজ এজেন্সিগুলোকে নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য যা যা দরকার সবকিছুই করবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর