মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভেষজ

পুষ্টিকর কিছু ফল

আফতাব চৌধুরী।

কলা : একটি পুষ্টিকর খাদ্য। তা ছাড়া পালাঞ্জুর লিভার, অগ্ন্যাশয়, কিডনি এই তিনের ভালো কাজ করে। আমাশয়, মৃতবৎসা, কিংবা সন্তান জন্মের পর মাতার মৃত্যু হলে মজাকলা, যে কলার খোলাটা কালচে হয়ে গেছে মাতৃদুগ্ধের সমান। প্রাতরাশের প্রথমেই কলা অথবা পাকা পেঁপে খেলে অম্লদোষ দূরীভূত হয়। কাঁটালি কলা সর্বোত্কৃষ্ট। মজা চাঁপা কলার অম্লদোষ দূরীভূত করার জন্য সামান্য লবণসহকারে মজাকলা খেতে হয়। মনের ওপর এ কলার প্রভাব রয়েছে। হৃদরোগীদের সন্ধ্যার পর কলা না খাওয়াই ভালো।

শসা : শসা সব সময় অল্প পরিমাণ মুড়ির সঙ্গে খেতে হয়। শসার গুণ ‘সকালে হীরা, দুপুরে খিরা, রাতে পীড়া’।

মৌসম্বী (শরবতি লেবু) : পেট ঠাণ্ডা রাখে। মৌসম্বী বেদানা ও ডালিমের রস রক্তবর্ধক, সোজাসুজিভাবে রক্তে রূপান্তরিত হয়।

কমলা (লেবুবর্গীয়) : একটি মিষ্টি কমলা, ১০-১২টি চন্দন, তুলসীপাতার রস ও পরিমাণমতো (২-৩ চামচ) মধুসহ খেলে (সকাল-সন্ধ্যায় ও শোবার আগে) দুরারোগ্য এনিমিয়া রোগে অব্যর্থ ওষুধ।

আম : ফলের মধ্যে আমের স্থান শীর্ষে। আম অনেক গুণের আধার। পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমের গুণ বেশি। আমসি যকৃৎ (লিভার) ও প্লিহা দুয়ের পক্ষেই ভালো। আম টকই হোক আর মিষ্টিই হোক গলার নিচে নামলেই দুয়ের গুণ সমান। টক আম মধুমেহ রোগে ওষুধের কাজ করে। পাকা আম রক্তবর্ধক। বেদানা ছাড়া আর কোনো ফলই এত রক্ত জোগান দেয় না। দুপুর ১২টার আগে এক বল্কা দুধের সঙ্গে পাকা আমের রস পান করলে রোগমুক্ত মানুষ অল্প সময়েই শক্তি ফিরে পায়। অতিবৃদ্ধ ছাড়া সব বয়সের মানুষ, বিশেষ করে অল্প বয়সী যুবক এ আমদুধ পান করে প্রভূত শক্তির অধিকারী হতে পারে। এটি কিন্তু উষ্ণবীর্য। তাই পেট যার খুব ভালো নয় তার পক্ষে আমদুধ পান না করাই উচিত। ক্যালসিয়াম যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় পেট ভালো থাকলে যক্ষ্মারোগী আমদুধ পান করলে বিশেষভাবে উপকৃত হবে। অতিমাত্রায় পান করলে মধুমেহ রোগের সৃষ্টি করে ও রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে পারে।

জাম : সর্বগুণাধার। কিছুটা কষ থাকায় তা মধুমেহ রোগের প্রতিষেধক। জামের অস্থির অন্তর্গত সারসত্তায়ও রয়েছে মধুমেহ প্রতিষেধক। জামের ভিতরের অংশ মধুমেহের ওষুধ।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর