বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

আত্মসাৎকৃত সেই অর্থ

ফেরত পাওয়ার উপায় বের করুন

হলমার্ক, ডেসটিনি ও যুবকের ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে। এসব প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষ ও ব্যাংকের কাছ থেকে যে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে তা ফেরত পাওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হলমার্ক নামের জালিয়াত প্রতিষ্ঠানটি সোনালী ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে। গত আট বছরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৫০০ কোটি টাকা আদায় করলেও বাদবাকি সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হলমার্ক গ্রুপের বিভিন্ন কারখানার মেশিনপত্র নষ্ট হচ্ছে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে। রাতের আঁধারে চুরি হয়ে গেছে দামি ও ভারী মেশিনপত্র। সোনালী ব্যাংক হলমার্কের সম্পত্তি বিক্রি করে তাদের পাওনা আদায়ের চেষ্টা করলেও তাতে সফল হয়নি। অন্যদিকে যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) নামে সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার সম্পদ কার দখলে রয়েছে তা সরকারেরও অজানা। প্রায় চার বছর আগে কমিশন করে গ্রাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কমিশন যুবকের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএলএম প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫ হাজার কোটির বেশি টাকা সংগ্রহ করে ডেসটিনি। এ টাকা দিয়ে ডেসটিনির কর্তাব্যক্তিরা কথিত প্রতিষ্ঠান ও নিজেদের নামে বিপুল সম্পদ কিনেছেন ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত। এসব সম্পত্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ডেসটিনি গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়েছিল প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আট বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া তিন প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ একদিকে যেমন নষ্ট ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের কাছে ব্যাংক ও গ্রাহকদের হাজার হাজার কোটি টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আটক কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বসে কীভাবে ব্যাংক ঋণ ও গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করা যায় সে উপায় উদ্ভাবন করতে হবে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে কোনো হায় হায় জাতীয় প্রতিষ্ঠান মাথা উঁচু করে না দাঁড়ায় সে ব্যাপারে থাকতে হবে সতর্কতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর