শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

রপ্তানির নতুন লক্ষ্যমাত্রা

পণ্য বহুমুখীকরণে সচেষ্ট হতে হবে

চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে নতুন যে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন তাতে চলতি বছর পণ্য ও সেবা রপ্তানির মাধ্যমে দেশ ৪৪ বিলিয়ন ডলার আয় করতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। স্মর্তব্য, বিদায়ী অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ছিল ৪১ বিলিয়ন ডলার। নতুন অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে ৩ বিলিয়ন বেশি। ঘোষিত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় পণ্য রপ্তানি বাবদ ৩৯ বিলিয়ন ডলার ও সেবা রপ্তানি খাতে ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রাক্কলন করা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের পণ্য রপ্তানি খাতে ৬.৩৬ শতাংশ ও সেবা খাতে ৭.৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ৭ শতাংশের সামান্য বেশি। রপ্তানি বাড়াতে বিগত অর্থবছরে সরকার ২৭টি পণ্য রপ্তানি খাতে বিভিন্ন হারে নগদ সহায়তা দিয়েছে। এ বছর এ তালিকা আরও সম্প্রসারণ করে আরও ৯টি পণ্য তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় প্রতি বছর বৃদ্ধি পেলেও এর বড় অংশ জুড়ে আছে তৈরি পোশাক খাত। তৈরি পোশাক খাতে গত অর্থবছর ৩০.৬১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছর এ খাত থেকে ৩২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে। নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে এতদিন ৩ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা ছিল, এখন তা বাড়িয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। আগামীতে পোশাক রপ্তানিতেও ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। দেশের মোট পণ্য রপ্তানির ৭৫ ভাগ জুড়ে আছে তৈরি পোশাক খাত। রপ্তানি আয় বহুমুখীকরণে নানা ধরনের পণ্য উৎপাদন ও বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধির স্বার্থে অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবসায়িক জটিলতা নিরসন, সরকারের সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার দাবি রয়েছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। বিষয়টি মেনে নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকার পর্যাপ্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশ আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেছে। উল্লেখ্য, রপ্তানি আয়ের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের স্থান এখন দ্বিতীয়। ভারতের পরই বাংলাদেশের স্থান। এ ক্ষেত্রে আরও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে ব্যাপক বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। রপ্তানি খাতকে বহুমুখী করার উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি।

সর্বশেষ খবর