রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট নিয়ে হতাশা

ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা

ঈদুল আজহায় রাজধানীর অন্তত অর্ধেক মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়বেন। বাস, ট্রেন, লঞ্চের টিকিট পেতে তাদের এক বড় অংশকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে সড়কপথে যোগাযোগ অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যে কারণে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের মধ্যে। গত তিন দিনে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে বিরাজ করছে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা। কমলাপুর রেলস্টেশনে অগ্রিম টিকিটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও অনেকেই তা সংগ্রহ করতে পারেননি। দীর্ঘ ১৬-১৭ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে এসব মানুষের সংখ্যা কম নয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে বলা হয়েছে, শুক্রবার কমলাপুরে ৩৫টি আন্তনগর ট্রেনের জন্য ২৬ হাজার ৮৯৫টি টিকিট ছাড়া হয়। এর বিপরীতে চাহিদা ছিল কমপক্ষে ১০ গুণ। টিকিট কিনতে আগতদের ২৫ শতাংশই ছিল নারী। নারী টিকিটপ্রত্যাশীদের জন্য ছিল ১৭ ও ১৮ নম্বর কাউন্টার। তবে ১৮ নম্বর কাউন্টার বেশির ভাগ সময় ছিল বন্ধ। ফলে নারীদেরও ভুগতে হয়েছে অপেক্ষার যন্ত্রণায়। তবে ট্রেনের ধারণক্ষমতার চেয়ে টিকিটপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেকেই কাউন্টার থেকে ফিরেছেন হতাশ মুখে। ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করলেও তা কোনো সুখবর বয়ে আনতে পারছে না। এ বছর ট্রেনের টিকিট যাতে কালোবাজারি না হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষীয় সতর্কতা ছিল লক্ষ্য করার মতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা পোশাকের সদস্যরাও ছিলেন সজাগ। তার পরও কালোবাজারির ঘটনা এড়ানো যায়নি। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ অন্যান্য বারের চেয়ে কম। কালোবাজারি বন্ধে গত তিন দিনে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। ঈদযাত্রায় উপচে পড়া ভিড়ের জন্য ট্রেনযাত্রীরা স্বচ্ছন্দে চলাচলের সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিনা টিকিটের যাত্রীরা যাতে ট্রেনে উঠতে না পারেন সে ব্যাপারে নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন অনেকে। আমরা আশা করব এ বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে। ঈদ উপলক্ষে রেলকর্মীরা যাতে পকেট ভরার উৎসবে মেতে না ওঠেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। সময়মতো ট্রেন ছাড়া ও পৌঁছানোর নিশ্চয়তা বিধানেও কর্তৃপক্ষ সজাগ থাকবেন— এমনটিও প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর