মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

জরিমানার ৩০ শতাংশ

ট্রাফিক পুলিশের দায়বোধ বাড়াবে

ট্রাফিক প্রসিকিউশনের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের ৩০ শতাংশ এ বিভাগে কর্মরতদের জন্য বরাদ্দের সুপারিশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অতিসম্প্রতি পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাক্রমে যেহেতু এ প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে সেহেতু অতি দ্রুতই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশা করা যায়। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়। বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন থেকে জরিমানা বাবদ যে অর্থ আদায় করে তার পুরো অংশই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। আদায়কৃত জরিমানার একটি অংশ আদায়কারীদের জন্য বরাদ্দ হলে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে তাদের সক্রিয়তা বাড়বে। সাধারণভাবে পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ট্রাফিক বিভাগে কর্মরতদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণের নির্মম শিকারও তারা। এ বিষয়টি মনে রেখেই প্রসিকিউশনের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থের ৩০ শতাংশ এ বিভাগে কর্মরতদের জন্য বরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিশ্বের ব্যস্ততম শহরগুলোর অন্যতম রাজধানী ঢাকা। এই নগরীর ট্রাফিকব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পুলিশের প্রায় ৪ হাজার সদস্য। ঘনবসতিপূর্ণ এই মহানগরীতে আয়তনের তুলনায় রাস্তাঘাট অপ্রতুল। ফলে যানজট নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। বায়ু ও শব্দ দূষণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। একজন ট্রাফিক পুলিশকে ঝড়বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও তার দায়িত্ব পালন করতে হয়। দিনরাত তীব্র শব্দ ও সার্বক্ষণিক মানসিক চাপের মধ্যে কাজ করায় এ বিভাগের সদস্যদের অনেকেই মানসিক বৈকল্য, বধিরতা, ক্যান্সার, যক্ষ্মা, অপুষ্টিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হন। এ বিভাগের সদস্যদের চিকিৎসা ব্যয় পরিশোধ করে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও পারিবারিক প্রয়োজন মেটানো অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ে। স্মর্তব্য, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এনসিআইসির সভায় জরিমানার একটি অংশ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দেওয়ার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে ট্রাফিক পুলিশের দায়বোধ বাড়বে— এমনটিই আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর