বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

কালেমার ফজিলত

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

লা ইলাহা ইলস্নাল্লাহ অর্থাৎ আলস্নাহ এক এবং তার শরিক নেই— কালেমাধারীরা আখিরাতে অবশ্যই আল্লাহর কৃপা লাভের অধিকারী হবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করবে। কিয়ামতের আগে আল্লাহ প্রদত্ত জীবনবিধান ইসলাম নিষ্প্রভ হয়ে পড়বে। মানুষ বিপথগামী হয়ে যাবে। একপর্যায়ে আল্লাহ কোরআনও উঠিয়ে নেবেন। সে অবস্থায়ও কালেমার অস্তিত্ব থাকবে। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত মানুষ ভুলে গেলেও সে অবস্থায়ও যারা কালেমার কথা মনে রাখবে এবং কালেমা পড়বে তারা জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পাবে। হজরত হোজায়েফা (রা.) যিনি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের গোপনীয় বিষয়ে অবগত ছিলেন। তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এমন এক সময় আসবে, যখন ইসলাম এমন ম্লান হয়ে যাবে যেমন কাপড়ের কারুকার্য (পুরাতন হওয়ার কারণ) মস্নান হয়ে যায়। রোজা, হজ, জাকাত কী মানুষ তা জানবে না। অবশেষে এমন একটি রাত আসবে যে কোরআন পাক উঠিয়ে নেওয়া হবে, একটি আয়াতও বাকি থাকবে না। বৃদ্ধ নারী-পুরুষেরা বলবে যে আমরা আমাদের মুরব্বিদের কালেমা পড়তে শুনেছি কাজেই আমরাও তা পড়ব। হজরত হোজায়ফা (রা.)-এর এক সাগরেদ বলল, হুজুর! যখন জাকাত, হজ, রোজা কিছু থাকবে না, তখন শুধু এই কালেমা কি কাজে আসবে? হজরত হোজায়ফা (রা.) চুপ করে রইলেন। তিনবার প্রশ্ন করার পর তিনি বললেন, (কোনো না কোনো সময়) জাহান্নাম হতে বের করবে, জাহান্নাম হতে বের করবে, জাহান্নাম হতে বের করবে। অর্থাৎ ইসলামের অন্যান্য হুকুম পালন না করার কারণে শাস্তিভোগ করার পর কোনো না কোনো সময় কালেমার বরকতে জাহান্নাম হতে মুক্তি লাভ করবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, মুসতাদরাকে হাকেম)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন (কেয়ামতের দিন) আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করবেন, জাহান্নাম থেকে এরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে বের করে নাও যে লা ইলাহা  ইল্লাল্লাহ বলেছে এবং তার অন্তরে বিন্দু পরিমাণও ইমান আছে। এবং এরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে বের করে নাও যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলেছে অথবা আমাকে (যে কোনোভাবে) স্মরণ করেছে কিংবা কোনো অবস্থায় আমাকে ভয় করেছে। (হাকেম)

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর