বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইভিএমে ভোট গ্রহণ

ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ১০০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। দেশের ইতিহাসে সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহারের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রয়োজন হবে। এ উদ্দেশ্যে আজ নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসছে। নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপিসহ কোনো কোনো দল এ ব্যাপারে আপত্তি জানাচ্ছে। ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাতে কারচুপির কোনো সম্ভাবনা থাকবে না। বর্তমান পদ্ধতিতে কেন্দ্র দখল করে ব্যালট কেটে বাক্সে ঢুকিয়ে নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনার সুযোগ থাকলেও ইভিএম পদ্ধতিতে তা চলবে না। এদিক থেকে কারচুপি চায় না এমন সব দলের এতে সন্তুষ্ট হওয়ারই কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এ বছর অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া সম্পর্কে ভোটার কিংবা নির্বাচন প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের নেতিবাচক অভিযোগ আসেনি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ১০০ আসনে ভোট গ্রহণ করা হলে দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রয়োজন হবে। এ জন্য তিন হাজার ৮২১ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তাই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে নির্বাচন কমিশন গত দুটি সংসদে প্রতিনিধিত্ব ছিল এমন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিলে সেটি হবে সব দিক থেকে উত্তম। আমাদের বিশ্বাস এর ফলে ইভিএম সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্ত্মি সৃষ্টির যে চেষ্টা চলছে তা রোধ করা সম্ভব হবে। নির্বাচন সম্পর্কে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টিতে এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগী হতে হবে। আমরা আশা করব গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে বৈঠকে বসবে তাতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের যে আভাস ইতিমধ্যে মিলেছে তা জিইয়ে রাখতে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই চোখ-কান খোলা রেখে এগোতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর