রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বিমসটেকের কাঠমান্ডু ঘোষণা

পারস্পরিক সহযোগিতা বিকশিত হোক

বঙ্গোপসাগরীয় উপকূলবর্তী সাত দেশের জোট বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন শুক্রবার শেষ হয়েছে ১৮ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণার মাধ্যমে। কাঠমান্ডু ঘোষণায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অভিন্ন সড়ক, রেল, আকাশ, নৌ যোগাযোগের পাশাপাশি জ্বালানি সংযোগ স্থাপনের কথা উঠে এসেছে। দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন শেষে শুক্রবার দুপুরে সর্বসম্মতিক্রমে প্রকাশ হয় কাঠমান্ডু ঘোষণা। শীর্ষ সম্মেলনে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বিমসটেক গ্রিড স্থাপনের বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। পূর্ব প্রস্তুতি থাকলেও স্বাক্ষর হয়নি সন্ত্রাসবাদ দমন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে অন্য দুটি চুক্তি। কো-অপারেশন অন ক্রিমিনাল মেটারসে সবাই রাজি হওয়া সত্ত্বেও ভুটানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। আশা করা হচ্ছে, অক্টোবরের পরে ভুটানে নির্বাচিত নতুন সরকার এলে সবাই মিলে চুক্তিতে সই করা হবে। গ্রিড কানেকশনসের ব্যাপারে যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তাতে জলবিদ্যুতের উৎপাদন, পরিচালন, মূল্য নির্ধারণ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বিমসটেক আত্মপ্রকাশ করেছিল ২০ বছর আগে। এই দীর্ঘ সময়ে বঙ্গোপসাগর কূলবর্তী দেশগুলোর এই জোট খুব বেশি এগিয়েছে তা বলার অবকাশ নেই। এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারস্পরিক আস্থার যে সংকট চলছে তা কাটিয়ে উঠে রাতারাতি পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি খুব সহজ কথা নয়। তবে এই অঞ্চলের দুটি জোট সার্ক এবং বিমসটেক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টিতে রাতারাতি কোনো সাফল্য অর্জন করতে না পারলেও সংঘাত এড়ানোর ক্ষেত্রে যে কৃতিত্ব দেখিয়েছে তা অনস্বীকার্য। কাঠমান্ডু শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেকের সদস্যভুক্ত সাত দেশের মধ্যে পাঁচ ধরনের কানেকটিভিটি স্থাপনের যে অঙ্গীকার করেছেন শীর্ষ নেতারা তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিমসটেক বিদ্যুৎ গ্রিড স্থাপনে সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার ঘটনাকেও বড় ধরনের অগ্রগতি বলে অভিহিত করা যায়। এটি সম্ভব হলে সদস্যভুক্ত সব দেশই লাভবান হবে। শীর্ষ সম্মেলনে বিমসটেক দেশগুলোর নেতারা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের যে সুযোগ পেয়েছেন তা অবশ্যই এক বড় অর্জন। 

সর্বশেষ খবর