সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সাগরে গ্যাসের সন্ধান

জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে

দেশের স’লভাগের গ্যাস মজুদ যখন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে তখন সাগরপ্রান্ত্মের ১২ নম্বর বস্নকে গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনা স্বসিত্মদায়ক খবর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাগরপ্রান্ত্মে গ্যাস অনুসন্ধানরত দড়্গিণ কোরীয় কোম্পানি পোসকো দাইয়ু তিন হাজার ৫৬০ কিলোমিটার জরিপের তথ্য-উপাত্ত বিশেস্নষণ করে সংশিস্নষ্ট এলাকায় পাঁচটি সম্ভাবনাময় গ্যাস কাঠামো শনাক্ত করতে পেরেছে। এর মধ্যে তিনটিতে উত্তোলনযোগ্য গ্যাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জরিপকৃত এলাকায় তেল গ্যাসের অনুসন্ধান আরও নিশ্চিত করতে নভেম্বর থেকে দুই হাজার লাইন কিলোমিটারে তৃতীয় মাত্রার ভূকম্পন জরিপ করা হবে। সংশিস্নষ্ট বস্নকের পাশে মিয়ানমার তাদের সমুদ্রসীমায় অনেক আগেই গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন এক লাখ ১১ হাজার ১২৬ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে অগভীর সমুদ্র ৫৮ হাজার ৭২৯ বর্গকিলোমিটার আর গভীর সমুদ্র ৫২ হাজার ৩৯৭ বর্গকিলোমিটার। রাষ্ট্রীয় সংস্থা পেট্রোবাংলা সমুদ্র এলাকাকে ২৬টি বস্ন্লকে ভাগ করেছে। এর মধ্যে ১১টি অগভীর আর ১৫টি গভীর সমুদ্রে। বর্তমানে মাত্র চারটি বস্ন্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে। দাইয়ু ছাড়াও ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি নম্বর এবং ৯ নম্বর বস্ন্লকে এবং সান্তোস ও ক্রিস এনার্জি ১১ নম্বর বস্ন্লকে কাজ করছে। বঙ্গোপসাগরের সাংগু থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে কয়েক বছর ধরে। সাংগু ছাড়াও মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপস ১০ এবং ১১ নম্বর বস্ন্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য জরিপ চালায়। ওই জরিপেও বহুজাতিক কোম্পানিটি গ্যাস প্রাপ্তির উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা জানায়। কিন্তু গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কনোকোর দাবি সরকার মেনে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোম্পানিটি বস্ন্লক দুটি ফেলে চলে যায়। ১২ নম্বর বস্নকে গ্যাসের উত্তোলনযোগ্য মজুদ পাওয়া গেলে দেশের জ্বালানি সংকট কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। গ্যাসের মজুদ হ্রাস পাওয়ায় চাহিদা পূরণে বিদেশ থেকে তরল গ্যাস আমদানি একদিকে দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে অন্যদিকে শিল্প উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোরীয় কোম্পানিটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদ সম্পর্কে নিশ্চিত হলে তা দেশের জ্বালানি খাতের জন্য সুখবর বলে বিবেচিত হবে। সাগর প্রান্ত্মের অন্য সব বস্নকেও গ্যাস তেল অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর