দান অত্যন্ত গুর“ত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় একটি আমল। দানশীল ব্যক্তির জানমাল মহান আল্লাহর হেফাজতে নিরাপদ থাকে। দানের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর বন্ধুতে পরিণত হন। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে মুমিনদের দানের প্রতি উৎসাহিত করে অসংখ্য আয়াত নাজিল করেছেন। প্রিয়নবী (সা.) নিজে সর্বদা উদার মনে দান করতেন এবং দানশীলদের জন্য বিভিন্ন সুসংবাদ প্রদান করেছেন। যুগে যুগে আম্বিয়ায়ে কেরাম, সাহাবায়ে কেরাম ও আল্লাহতালার নেক বান্দাগণ দানশীলতার যে অনুপম উপমা সৃষ্টি করে গেছেন, তা কাল থেকে কালান্তর মানবেতিহাসে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

দানের ফজিলত সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় ধন-সম্পদ ব্যয় করে, তাদের উদাহরণ একটি বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আর এভাবে আল্লাহতায়ালা যাকে চান তার জন্য আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করে দেন। আল্লাহতায়ালা প্রাচুর্যময়, মহাজ্ঞানী। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৬১)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন হতে একটি খেজুর পরিমাণও দান করে, নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা ওই দান নিজ কুদরতি ডান হাতে গ্রহণ করেন। অতঃপর তা দানকারীর জন্য প্রতিপালন করেন, যেমনভাবে তোমাদের কেউ ঘোড়ার বা”চা লালন-পালন করে। এমনকি তা (দান) পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়। (বুখারি)

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে (মুসলমান) ব্যক্তি কোনো বস্ত্রহীন মুসলমানকে কাপড় পরিধান করায়, আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতে সবুজ পোশাক পরিধান করাবেন। যে ব্যক্তি কোনো ুধার্ত মুসলমানকে খানা খাওয়ায়, আল্লাহতায়ালা তাকে জান্নাতের ফলসমূহ খাওয়াবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো পিপাসার্ত মুসলমানকে পানি পান করায়, মহান আল্লাহতায়ালা তাকে এমন শরাব পান করাবেন যার ওপর মোহর লাগানো থাকবে। (আবু দাউদ)।

লেখক : মুফাসিসরে কোরআন ও ইসলামী গবেষক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি।

Email: md.habibi1987¦gmail.com