বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলোর পথে চলার নির্দেশনা দেয় আল কোরআন

মুহম্মাদ ওমর ফারুক

আলোর পথে চলার নির্দেশনা দেয় আল কোরআন

আল কোরআন হচ্ছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত মানবজাতির জন্য এক মহাপাথেয় যা ইহকালের শান্তি ও পরকালের মুক্তি নিশ্চিত করে এবং মানুষকে সত্যের পথ প্রদর্শন করে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুপস্থিতিতে এ পবিত্র গ্রন্থই হলো মানবজাতির দিকনির্দেশনার একমাত্র সম্বল। কেননা কোরআনই হলো রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। অন্ধকার থেকে আলোর পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে আল কোরআন। আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। মানুষ যাতে তাঁর নির্দেশিত পথে সঠিকভাবে চলতে পারে তা নিশ্চিত করতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। এই মহাগ্রন্থের অন্য নাম ফোরকান। হক ও বাতিলের মধ্যে এ ঐশীগ্রন্থ যেহেতু পার্থক্য নির্ণয় করে সেহেতু একে ফোরকান হিসেবে অভিহিত করা হয়। আল্লাহ মানুষের জন্য কোরআন নাজিল করেছেন সত্য ও সুন্দর পথে চলার জন্য। মানুষের কর্তব্য এ গ্রন্থকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা। কোরআন যে সত্য পথের সন্ধান দিয়েছে তাকে আন্তরিকভাবে আঁকড়ে ধরা এবং যে পথকে প্রত্যাখ্যান করেছে তা বর্জন করা। কোরআন নাজিল হয়েছে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। রসুলকে বলা হয় জীবন্ত কোরআন। রসুল যা করেছেন, যে পথে চলেছেন তা অনুসরণ করলে কোরআনের নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব। কোরআন আল্লাহ প্রদত্ত কিতাব। এর প্রতিটি শব্দ আল্লাহ প্রদত্ত। কোরআন পড়ার সময় এবং এর প্রতিটি বক্তব্য অনুধাবন করার সময় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা লালন করতে হবে। আল্লাহর রহমতপ্রাপ্তির একমাত্র পথ যে কোরআন নির্দেশিত পথে চলা এটি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে। কোরআন মানুষের জাগতিক ও পারলৌকিক জ্ঞানের আধার। তাই কোরআন পাঠ ও অনুধাবন বান্দার একান্ত কর্তব্য। কোরআন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোকিত পথে চলার নির্দেশনা দেয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘... এ কিতাব, এটা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, যাতে তুমি মানবজাতিকে তাদের প্রতিপালকের নির্দেশক্রমে বের করে আনতে পারো অন্ধকার হতে আলোকে, তাঁর পথে যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ।’ সূরা ইবরাহিম : ১। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি, যে কোরআন শিক্ষা করে ও শিক্ষা দেয়।’ বুখারি। কোরআন পড়তে হবে আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশায় ও একাগ্রচিত্তে। কেউ কোরআন পড়লে তা গভীর মনোযোগের সঙ্গে শুনতে হবে। কোরআন পাঠের সময় অন্যদের উচিত এই মহাগ্রন্থের মর্যাদা রক্ষায় যথাসম্ভব নীরব থাকা। আল কোরআনের সূরা আনফিলের ২ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন তো কেবল তারাই, যাদের সামনে আল্লাহর কথা আলোচিত হলে তাদের হৃদয়ে কাঁপন শুরু হয়।  আর যখন তাদের কাছে আল্লাহর কোনো আয়াত তিলাওয়াত করা হয় তখন তাদের ইমান বৃদ্ধি পায়।’ আল্লাহ আমাদের সবাইকে একাগ্রচিত্তে কোরআন তিলাওয়াতের তাওফিক দান করুন।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর