বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পবিত্র মহররম মাসের ইবাদত

মাওলানা আবদুর রশিদ

মহররম নফল ইবাদতের মাস। রমজানের ফরজ রোজার পর মহররমের নফল রোজার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের পর হজরত মুসা (আ.)-এর সুন্নত হিসেবে আশুরার দিন এবং আগের অথবা পরের দিন রোজা পালনের হুকুম দেন। তিনি মদিনায় হিজরতের পর ইহুদিদের আশুরার দিন রোজা পালন করতে দেখেন। বুখারি ও মুসলিমের হাদিস অনুযায়ী ইহুদিরা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানান, এই দিনে হজরত মুসা (আ.) ও তাঁর উম্মতকে আল্লাহ নাজাত দান করেন এবং ফেরাউন ও তার বাহিনীকে পানিতে ডুবিয়ে দেন। হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর এই কৃপায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ দিনে রোজা পালন করেন। তাই ইহুদিরাও আশুরার দিনে রোজা পালন করে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহুদিদের বলেন, হজরত মুসা (আ.)-এর নাজাতে কৃতজ্ঞতা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা তোমাদের চেয়ে বেশি হকদার। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পর থেকে আশুরায় নিজে রোজা রাখেন এবং মুসলমানদের রোজা রাখার হুকুম দেন। আশুরার রোজা পালনের মাধ্যমে বেশি বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। হজরত আদম (আ.) থেকে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সব নবী মহররম মাসকে বিশেষ সম্মান দিয়েছেন। বিশেষত আশুরার দিনে রোজা ও ইবাদত-বন্দেগি করেছেন তাঁরা। ১০ মহররম আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে কারবালার প্রান্তরে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় নাতি, হজরত আলী (রা.) ও ফাতিমা (রা.)-এর পুত্র ইমাম হোসাইন (রা.)সহ নবীবংশের শাহাদাতবরণের ঘটনায়। হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামী ইমান-আকিদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার জন্য ইয়াজিদকে খলিফা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এজন্য তাঁর ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়। কারবালার প্রান্তরে  ইয়াজিদ বাহিনী ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবারের সদস্য ও সঙ্গীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। তিনি ইয়াজিদ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণের বদলে সত্য ও ন্যায়ের জন্য শাহাদাতবরণকে বেছে নেন।

 লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর