শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বেদখল খেলার মাঠ

কর্তৃপক্ষের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙুক

রাজধানীর খেলার মাঠগুলো একের পর এক বেদখল ও উধাও হয়ে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা যখন ছিল ১০ লাখ তখন খেলার মাঠের সংখ্যা ছিল অন্তত ৫০টি। এখন দেড় কোটি মানুষের এই মেগা সিটিতে খেলার মাঠের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে এক ডজনেরও নিচে। মাঠের অভাবে রাজধানীর শিশুরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গৃহবন্দিত্বের অভিশাপ শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করছে। দেড় কোটি মানুষের মহানগরী ঢাকায় খেলার মাঠ ও পার্কের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় ৫ শতাংশেরও কম। একসময় রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় ছিল খেলার মাঠ। কালের বিবর্তনে সেগুলো আজ অপদখলের শিকার। একসময় যেসব মাঠে ছিল ফুটবল নিয়ে শিশু-কিশোরদের অনুশীলন, যেসব মাঠে ঘোরাফেরা করে মুক্ত বায়ু সেবনের সুযোগ পেত এলাকার মানুষ সেগুলো হয় অস্তিত্ব হারিয়েছে নতুবা অপদখলের শিকার। ২০০৩ ও ২০০৪ সালের দুই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকার ৬৮টি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য সংরক্ষিত জায়গা ১৫ দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য সংরক্ষিত জায়গা দখলমুক্ত করার সে আদেশ যথাযথভাবে পালনে গত ১৪ বছরে কোনো অগ্রগতিই লক্ষ্য করা যায়নি। বরং দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। একের পর এক মাঠ অপদখল হয়ে পড়ছে। রাজধানীতে গড়ে ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের জন্য রয়েছে একটি খেলার মাঠ। দেশের ফুটবলের অধঃপতনের পেছনে খেলার মাঠের অভাব অন্যতম দায়ী। রাজধানীতে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ থাকলে শিশু-কিশোরদের ফুটবলসহ অন্যান্য খেলায় অনুশীলনের সুযোগ যে মিলত তা সহজে অনুমেয়। রাজধানীর শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা করা ও সাধারণ মানুষের মুক্ত বায়ু সেবনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কর্তৃপক্ষীয় নজরদারির অভাবে। এ বিষয়ে তাদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙবে- এমনটিই দেখতে চায় নগরবাসী। রাজধানীর শিশুদের জন্য মাঠ ও পার্ক নিশ্চিত করতে দুই সিটি করপোরেশনসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ খুবই জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর