বৃহস্পতিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন

বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার নিদর্শন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন গত মঙ্গলবার। একই অনুষ্ঠানে ভারতীয় ঋণের টাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল-গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল-গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করা হয়। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক নিবিড় করতে এ তিনটি প্রকল্প অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ভারতের শিলিগুড়ির নুমালীগড় তেল শোধনাগার থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে। ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এ পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করা যাবে। ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল-গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল-গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারত সরকার ঋণ হিসেবে দেবে ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। আর বাংলাদেশ সরকার ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকার জোগান দেবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, টঙ্গী-জয়দেবপুর হয়ে উত্তরাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল স্বচ্ছন্দপূর্ণ ও দ্রুততর হবে। এ প্রকল্পের আওতায় এমব্যাংকমেন্টসহ ৯৬ কিলোমিটার ডুয়েল-গেজ রেললাইন নির্মাণ হবে। এ ছাড়া ২৫টি কালভার্ট, ৬টি প্ল্যাটফরম, ৬টি প্ল­্যাটফরম শেড, ১২টি ফুটওভার ব্রিজ, ৪টি স্টেশন ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল আমদানি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমদানিকৃত এ তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি চাহিদা মেটানো যাবে। দুই নেতা প্রকল্পগুলোকে সহযোগিতার মাইলফলক বলে অভিহিত করেছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের সোপানে পা রাখতে জ্বালানি ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে- আমরা এমনটিই আশা করতে চাই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর