মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ সবার জন্য উন্মুক্ত হোক

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী প্রেরণ সবার জন্য উন্মুক্ত হোক

অর্থনৈতিকভাবে বেশ আগেই এক সমৃদ্ধিশালী ও সক্ষম দেশে রপান্তরিত হয়েছে এশিয়ার অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ মালয়েশিয়া। একসময় এ দেশটি কৃষি-নির্ভর হলেও এখন বাণিজ্য ও শিল্প সক্ষমতায় তারা অনেক এগিয়ে ও পরিণত। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির নানা সংকট মোকাবিলায়ও তাদের সামর্থ্য প্রশ্নাতীত। ২০২০ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া উন্নত দেশের কাতারে যোগ দেবে- সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এখন এটি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। মূলত নব্বই দশকের প্রারম্ভ থেকেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক মাহাথির মোহাম্মদের হাত ধরে মালয়েশিয়ায় পরিকল্পিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি ঘটতে থাকে। আর তাই যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, কৃষি, পারমাণবিক খাতসহ বিভিন্ন খাতে দ্রুত পরিবর্তন সূচিত হয়। দ্রুতই এশিয়ার মধ্যে আকর্ষণীয় এক দেশে পরিণত হয় মালয়েশিয়া।

অর্থনৈতিকভাবে মালয়েশিয়ার যে অগ্রগতি ও উত্থান সেখানে বাংলাদেশের শ্রমজীবীদের রয়েছে বিরাট অবদান। সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বও বরাবরই তা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশের লাখ লাখ শ্রমজীবী দিনের পর দিন অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ আধুনিক মালয়েশিয়ায় নিজেদের শ্রম দিয়েছে। এ শ্রম দিতে গিয়ে শুধু দৈহিক কষ্টই নয়, পরিবার-পরিজন রেখে মানসিক অনেক মর্মবেদনাও তাদের মাথা পেতে মেনে নিতে হয়েছে। কিন্তু সেই মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার স্থগিত হয়ে যাওয়া, আনডকুমেনটেড শ্রমিকদের নিত্য ঝুঁকিতে থাকা, অবৈধতার অভিযোগে বাংলাদেশের শ্রমিকদের গ্রেফতার হওয়া- এসবই যেন এই শ্রমবাজারকে উন্মাতাল ও অনিশ্চয়তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে। ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে ফরেন ওয়ার্কার্স অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমে (এসপিপিএ) মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়া স্থগিত হওয়ার পর এখন কোন পদ্ধতিতে সে দেশে কর্মী যাবে তা নির্ধারণ হয়নি। এ নিয়ে আলোচনার জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আজ কুয়ালালামপুরে হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির নেতৃত্বে নয় সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ওই বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আরও স্বচ্ছভাবে কর্মী প্রেরণের বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের দক্ষ সব কর্মকর্তা রয়েছেন।

জিটুজি প্লাস নামে এসপিপিএর আওতায় মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে যেভাবে কর্মী নিত সেই পদ্ধতি গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত রয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমবাজারের ওপর অবশ্যই এটি এক মহাদুর্যোগ। শ্রমবাজার খাতে মহাদুর্যোগের এই শুরু ১৪ আগস্ট। ওইদিন মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি বলে স্বীকৃত বর্তমান প্রবীণ প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনাবিষয়ক এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে এসপিপিএ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ স্থগিতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং এই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়- দুই দেশের মধ্যে ২০১৫ সালের ২৬ আগস্টের ঐকমত্য অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ বা বাতিলের অধিকার মালয়েশিয়ার রয়েছে। সে অনুযায়ী মালয়েশিয়া আগের পদ্ধতিতে শ্রমিক নিয়োগ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানা যায়। তবে আমরা খুবই আশাবাদী দুই দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে পুনরায় বাংলাদেশ থেকে কীভাবে আরও অধিক স্বচ্ছভাবে কর্মী নেওয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যাতে সুনির্দিষ্ট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্যতম সব রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারে সে সুযোগ এই নতুন পদ্ধতিতে রাখতে হবে। তা না হয়ে পুনরায় যদি হাতে গোনা ২০-৩০টি রিক্রুটিং এজেন্ট কর্মী পাঠায় তাহলে পুনরায় নতুন করে সিন্ডিকেটের প্রশ্ন উঠবে; যা কোনোভাবেই জনশক্তি পাঠানোর সঙ্গে যুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো মেনে  নেবে না। এই নতুন পদ্ধতিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য সার্ভিস চার্জ অর্থাৎ লাভসহ ফ্যাক্টরি ও নির্মাণ খাতে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার ও কৃষি খাতে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। তবে সম্ভব হলে এই অভিবাসন ব্যয় আরও কমিয়ে নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।

আমি মনে করি এই শ্রমবাজারে নৈতিকতা, স্বস্তি, আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা অবশ্যই তৈরি হওয়া দরকার। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে এখন যেসব কথাবার্তা, বিতর্ক চলমান আছে তা অবসানে প্রধানতম কর্মসূচি হওয়া উচিত এ বাজারটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একই সঙ্গে অভিবাসন ব্যয় কমিয়ে আনতে সর্বোচ্চ সদিচ্ছা, মমত্ববোধ ও দেশপ্রেম দেখানো। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে অবশ্যই আগের ভুলত্র“টি মোকাবিলা করে এই শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করার সুযোগ এসেছে। সে ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সহনশীল ব্যয়ের মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ করাটাই হতে হবে প্রধানতম কাজ। কয়েকটি বিষয় আমি দুই দেশের নীতিনির্ধারকদের বিনয়ের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে অনুরোধ করব।  প্রথমত, সুনির্দিষ্ট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্যতম রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের জন্য সুযোগ দিতে হবে। সুনির্দিষ্ট যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্যতম সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের জন্য সুযোগ দিলে অভিবাসন প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। যোগ্যতা বিবেচনার ক্ষেত্রে যা যা দেখতে হবে তা হলো- রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অতীতে বিদেশে কর্মী প্রেরণে কোনো অনিয়ম বা প্রতারণার অভিযোগ আছে কিনা, আগে কোন কোন দেশে কী ধরনের কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় গমনেচ্ছু কর্মীদের ওরিয়েন্টেশনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা আছে কিনা, সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ করা হবে কিনা ইত্যাদি। তবে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সবার জন্য উন্মুক্ত করার যে দাবি তোলা হচ্ছে, তা ব্যবহার করে কোনো প্রতারক চক্র যাতে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে অর্থ আদায় না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত হলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে ভিসা কেনাবেচার অসম প্রতিযোগিতা যাতে শুরু না হয়, সেসব বিষয়েও প্রতিরোধ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনীতিবিদ, সমাজহিতৈষী মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি অভিবাসন খাতকে আরও বেশি মর্যাদা ও গতিশীল করতে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন বেগম রওনক জাহান। প্রবাসীকল্যাণবিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। বর্তমানে কর্মরত বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা এই সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লি­ষ্ট সবার প্রিয় ব্যক্তি ও মাইগ্রেশন বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন থেকে তিনিও জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে নানা পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারসহ জনশক্তি খাতকে আরও গতিশীল করতে সরকার ও রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যেও একটি সুন্দর সমন্বয় প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে বায়রারও অনেক দায়দায়িত্ব রয়েছে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর বায়রার ২০১৮-২০ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। যেখানে সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। একইসঙ্গে জনশক্তি প্রেরণ খাতের সঙ্গে সংশ্লি­ষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির সুখ-দুঃখের সাথী তাদের আস্থাভাজন দুই নেতা মো. শফিকুল আলম ফিরোজ সিনিয়র সহসভাপতি ও মনসুর আহমেদ কালাম সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। মহাসচিব হয়েছেন কর্মমুখর মানুষ শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান।

বিভিন্ন পদে রয়েছেন এই সেক্টর সম্পর্কে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা। আমি আশা করছি আগামী দিনের শ্রমবাজারকে আরও গতিশীল করতে এ কমিটি প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সচিব, বিএমইটির মহাপরিচালকসহ সংশ্লি­ষ্ট সবার সঙ্গে আগামী দুই বছরের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। যেখানে আমাদের নতুন  শ্রমবাজারের অনুসন্ধান, বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্রমবাজার পুনরুদ্ধার, নিরাপদ অভিবাসন সুনিশ্চিতকরণ, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধ করা, যৌক্তিক অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা, বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মী প্রেরণের চাহিদাপত্র সত্যায়নের প্রক্রিয়াকে দুর্নীতিমুক্ত করা, মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগানুমতিপ্রাপ্তিতে ও রিক্রুটমেন্ট পারমিশনে হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এদিকে মালয়েশিয়ায় ৩১ আগস্ট শেষ হয়েছে অবৈধভাবে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের নিবন্ধন প্রক্রিয়াও। অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দিতে ২০১৪ সালে ‘থ্রি প্লাস ওয়ান’ নামের কর্মসূচি চালু করে মালয়েশিয়া সরকার। দফায় দফায় এ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সময় বাড়ানো হলেও এবারই সর্বশেষ সুযোগ ছিল বলে জানিয়েছিল মালয়েশিয়া সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় নির্ধারিত মাশুল দিয়ে কোনোরকম বিচারের মুখোমুখি না হয়েই ৩১ আগস্টের মধ্যে অভিবাসীরা নিজের দেশে ফিরতে পারতেন। নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ১ জুন শুরু হয় অভিযান। এ অভিযানে কত অবৈধ বাংলাদেশি আটক হয়েছে তার তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে প্রতিদিনই গ্রেফতারের খবর আসছে। সর্বশেষ ২২ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার সাইবার জায়া থেকে ৫৫ বাংলাদেশি শ্রমিককে আটক করেছে সে দেশের পুলিশ। বাংলাদেশ হাইকমিশনের দেওয়া সাম্প্রতিক তথ্যানুযায়ী, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করেন। তার মধ্যে ১ লাখের মতো কর্মীর যথাযথ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেই। রিহায়ারিং প্রক্রিয়ায় যারা নিবন্ধিত হননি তাদের জীবনে নতুন এক দুঃসময় নেমে এসেছে। পুলিশের ভয়ে তাদের বিনিদ্র রাত কাটাতে হচ্ছে। অনেকেই বনেজঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তবে প্রবাসী-কল্যাণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন প্রতিনিধি দল বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। আমরা আশা করি এই প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লি­ষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের অনিবন্ধিত কর্মীদের সেখানে বৈধভাবে রাখতে জোর সুপারিশ করবে।

মালয়েশিয়া আমাদের অন্যতম ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। কথিত আছে, আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদের আদিনিবাস বাংলাদেশের চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের প্রতি এই বর্ষীয়ান নেতার আলাদা এক টান রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা অবস্থায়ও তিনি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। মালয়েশিয়ার সর্বশেষ নির্বাচনে শত প্রতিকূলতার মাঝেও তার অভাবনীয় বিজয়ে আনন্দিত হয়েছেন মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে অবস্থিত বাংলাদেশিরা। এমনকি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ান নাগরিকরা সে দেশে মাহাথির সরকারের পক্ষে নির্বাচনপূর্বক নানা কর্মসূচিতে জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। তাই বাংলাদেশিদের প্রতি রয়েছে মাহাথিরসহ মালয়েশিয়ার জনগণের বিশাল আস্থা।

আমরা আশাবাদী, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশ্বের তাক লাগানো প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাহাথির মোহাম্মদ অবশ্যই দ্রুত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য নতুন পদ্ধতিতে পুনরায় উন্মুক্ত করবেন। যেখানে সব বৈধ যোগ্যতাসম্পন্ন রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে। সে প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আমাদের নীতিনির্ধারকরাও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন বলে আমাদের প্রত্যাশা।

লেখক : শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ

চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি

ইমেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর