বুধবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সর্বোচ্চ খাদ্য মজুদ

কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হোক

দেশের সরকারি খাদ্য গুদামগুলোয় এ মুহূর্তে গত এক দশকের মধ্যে খাদ্যের সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি গুদামে মজুদ খাদ্যকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। খাদ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী গত সোমবার পর্যন্ত সরকারি গুদামগুলোয় খাদ্য মজুদের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন; যার মধ্যে চাল ১৩ লাখ ৯০ হাজার ১২৪ ও গম ৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ মেট্রিক টন। এ মজুদ গত ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের হার শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত দেশে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হবে না। খাদ্য আমদানির জন্য যে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে সেখান থেকে ৪ লাখ টন চাল ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সংগ্রহ করেছে খাদ্য অধিদফতর।  এর ফলে আগামী বোরো ফসল কৃষকের ঘরে ওঠা পর্যন্ত সরকারি সবকটি খাদ্য গুদামেই পর্যাপ্ত চাল মজুদ থাকবে। গত বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লাখ মেট্রিক টন। এ চাল সংগ্রহের পর অতিরিক্ত আরও ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করেছে সরকার। গত বছর এই সময়ে সরকারের গুদামে চাল ও গম মিলিয়ে মজুদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ মেট্রিক টন। এ বছর মজুদের পরিমাণ গত বছরের প্রায় তিন গুণ। দেশের সরকারি খাদ্য গুদামে পর্যাপ্ত চাল-গম মজুদ থাকা নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক ঘটনা। খোলা বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি মজুদ যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেহেতু আশা করা যায় আগামী বোরো মৌসুমের ফসল ওঠার আগে চাল বা গমের বাজারে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করবে। সরকারি গুদামে মজুদকৃত খাদ্যের মান রক্ষায়ও সংশ্লি­ষ্টদের সচেতন থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানিকা মাল দরিয়া মে ঢাল তত্ত্ব যাতে মাথা চাড়া দিয়ে না ওঠে সে বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। দেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় খাদ্য উৎপাদন সন্তোষজনক হারে বাড়ছে। এ উৎপাদন আরও বাড়ানো সম্ভব। তবে তার আগে কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর