শনিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
স্মরণ

রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ আবদুল হামিদ

আবদুল মোনেম

রাজনীতিক ও শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল আবদুল হামিদ ১৯৮৭ সালের এই দিনে ইহলোক ত্যাগ করেন। ব্রিটিশ-ভারতে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম এমএসসিতে (মাস্টার্স অব সায়েন্স) ফার্স্ট ক্লাস (১৯৩৬ সালে) পাওয়া ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্তিগত জীবনের ভোগবিলাস বিসর্জন দিয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও জীবনমান উন্নয়নে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন। কর্মজীবনে ১৯৩৬ থেকে ৩৯ সাল পর্যন্ত তিনি কিছুকাল আসাম-বেঙ্গল রেলওয়েতে অডিটর ও সরকারি কলেজের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। অতঃপর পরাধীন দেশের শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভুখানাঙা মানুষের সার্বিক কল্যাণ চিন্তায় রাজনীতিতে যোগদান করেন এবং তাদের জন্য শিক্ষা বিস্তারের কাজে মনোনিবেশ করেন। ১৯৪১ সালে তিনি তার পৈতৃক ভূমিতে তার পিতার নামে নারায়ণপুর সরাফত উল্লাহ উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। একই সালে তিনি ঢাকার নওয়াব পরিবারের সন্তান নওয়াব খাজা সেলিমকে পরাজিত করে জেলা বোর্ড, ঢাকার মেম্বার নির্বাচিত হন। পাকিস্তান দাবি উত্থাপনের পর থেকেই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে তিনি অবাস্তব বা কাল্পনিক রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেন। ’৬২-এর পার্লামেন্টে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) থাকাকালে তিনি সরকারি চাকরিজীবীদের মতো কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের জন্যও বার্ধক্য ভাতার (পেনশন) দাবি তোলেন। ’৬৬ সালের ১২ এপ্রিল শিবপুরে (রায়পুরা, নরসিংদী) পূর্ব পাকিস্তান কৃষক সমিতির পঞ্চম বার্ষিক সম্মেলনে বিরাট দূরত্বে অবস্থিত ও বিদেশি রাষ্ট্র দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুটি পৃথক ভূখন্ডের সমন্বয়ে গঠিত একটি রাষ্ট্র কীভাবে অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক এবং এরূপ রাষ্ট্রের পরিণতি কী হতে পারে তা তিনি জাতি ও ভূখ- নামক প্রবন্ধের (পরবর্তীতে পুস্তিকা) মাধ্যমে সম্মেলনের প্রধান অতিথি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর উপস্থিতিতে তুলে ধরেন এবং স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানান।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি

Email-abdulmonem.bgp¦gmail.com

সর্বশেষ খবর