বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাল্টে যাচ্ছে অর্থনীতির ধরন

কর্মসংস্থানে এগিয়ে যাচ্ছে শিল্প খাত

কৃষি অর্থনীতির দেশ এই সনাতন পরিচিতি থেকে সরে আসছে বাংলাদেশ। শিল্পের বিকাশ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোয় দৃষ্টিগ্রাহ্য পরিবর্তন এনেছে। দ্রুতই শিল্পনির্ভর দেশে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে শিল্পায়নের ধারাকে উৎসাহ জোগাতে ১০০ ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। এর মধ্যে দেশের বৃহৎ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১১টি ইকোনমিক জোন। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী দেড় দশকে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব জোনে স্থাপিত কলকারখানা থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে, যা দেশের রপ্তানি খাতকে নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়। পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর উৎপাদন শুরু হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াবে কমপক্ষে ২ শতাংশ। এর ফলে দেশের কৃষিনির্ভর অর্থনীতির ধারা পাল্টে শিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে এক ধাপ এগোনো সম্ভব হবে। উৎপাদনবান্ধব ইকোনমিক জোনে কলকারখানা স্থাপনে জমির যেমন অভাব থাকবে না, তেমন গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ কোনো সার্ভিস সংযোগ নিয়ে থাকবে না অনিশ্চয়তা। থাকবে সহজ যোগাযোগ আর পণ্য পরিবহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। শতভাগ পুঁজি রক্ষা আর লাভের নিশ্চয়তা নিয়ে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারবেন উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্ট ইকোনমিক জোনগুলোয় হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ইতিমধ্যে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, সোনারগাঁ ও মুন্সীগঞ্জে নির্মাণাধীন ব্যক্তি খাতের ইকোনমিক জোনগুলোয় কর্মসংস্থান শুরু হয়েছে। এসব জোনে ভূমি উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামো ও কারখানা স্থাপনের কাজ চলছে জোরেশোরে। বাংলাদেশে শিল্প স্থাপনে প্রধান বাধা জমির অভাব। বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটও এ ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। ইকোনমিক জোনগুলোয় সে সমস্যা না থাকায় দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। আশা করা হচ্ছে, ইকোনমিক জোনগুলোয় পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হলে সর্বাধিক লোকের কর্মসংস্থানে শিল্প খাত স্থান করে নেবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নে ইকোনমিক জোনের ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর