বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

গণক ও জ্যোতিষী বিশ্বাস করা হারাম

মাওলানা সাহেব আলী

সব ধরনের ভূত-ভবিষ্যৎ ও অদৃশ্যের খবর একমাত্র আল্লাহই জানেন। সূরা আনআম, আয়াত ৫৯, সূরা নাহল, আয়াত ৬৫।

আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েবি খবর জানে বলে বিশ্বাস করলে ইমান থেকে খারিজ হয়ে যাওয়ার বিপদ অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে। আল্লাহ তারকারাজিকে আকাশ-মন্ডলীর সৌন্দর্য ও সুশোভনতার উপকরণ, গোপনে আসমানি তথ্য সংগ্রহকারী শয়তান দলকে বিতাড়িত করার জন্য তাদের প্রতি ক্ষেপণীয় অস্ত্র (উল্কা) স্বরূপ এবং অন্ধকারে জল ও স্থলপথের পথিক -দের জন্য পথনির্দেশক ও দিক-নির্ণায়কস্বরূপ সৃষ্টি করেছেন। সূরা আনআম, আয়াত ৯৭, সূরা নাহল আয়াত ১৬, সূরা সাফফাত, আয়াত ৬-১০, সূরা মুলক, আয়াত ৫।

পৃথিবীর মঙ্গলামঙ্গল ঘটনাঘটনের সঙ্গে তাঁর এই সৃষ্টি বিচিত্রার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই ইমানদাররা জ্যোতিষবিদ্যার শুভাশুভ বিচারে বিশ্বাসী নয়। বৃষ্টি-বর্ষা ও ফল-ফসলের বিধাতাও আল্লাহই। কোনো রাশিচক্রের বলে যেমন বৃষ্টি হয় না তেমন ফসল ফলে না। সবকিছু তাঁরই ইঙ্গিতে ঘটে, মানুষ অনুমান ও ধারণা করে মাত্র।

কারও হস্তরেখা দেখে ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ নিরূপণ, দৈহিক কোনো লক্ষণ যেমন, টেরা চক্ষু, জোড়া ভুরু, কূপগাল, ছয় আঙ্গুল, তিল, জড়–ল প্রভৃতি দেখে ভাগ্য বা চরিত্র বিচার, আবজাদি হিসাব জুড়ে, ফালনামা খুলে, শুভাশুভের অক্ষর বা হরফ নির্দিষ্ট করে চক্ষু বুজে হাত দিয়ে, ফালকাঠি টেনে বা পাখি উড়িয়ে ভাগ্য-ভবিষ্যৎ বা যাত্রাকর্ম ইত্যাদির শুভাশুভ নির্ধারণ জাহেলিয়াতি ও মূর্খতা। ইসলাম এসব সমর্থন করে না। সূরা মায়েদা, আয়াত ৯০।

মুসলিম এসবে বিশ্বাস করে না। তদনুরূপ হাত চালিয়ে, বদনা ঘুরিয়ে সাপ দেখা, চোর ধরা বা কিছু বলাও অনুমান মাত্র। বলা বাহুল্য, হাত গোনা, ভাগ্য গণনা ও ভাগ্যরাশির জ্যোতিষীর পেশার উপার্জন ইসলামে বৈধ নয়। প্রকাশ থাকে যে, দিনপঞ্জিকার সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ প্রভৃতি হিসাবের জ্যোতিষ অবৈধ নয়।

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে গণকের কাছে যাবে এবং তার কথা বলবে ও গণকের কথা সত্যি বলবে তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল হবে না।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর