শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শারদীয় দুর্গোৎসব

নিশ্ছি দ্র নিরাপত্তার ব্যবস্হা নিন

খুলনার খালিশপুরসহ দেশের আরও দু-একটি স্থানে গভীররাতে দুষ্কৃতকারীরা পূজাম-পে ভাঙচুর চালিয়েছে। নির্বাচনের আগে জনমনে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টায় বিভেদকামী শক্তি সাম্প্রদায়িক অশান্তির চেষ্টা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় ভুগছে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এই অপচেষ্টা রোধে সরকারের দিক থেকে পুজাম-পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেমন বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হবে। তেমন সাধারণ মানুষকেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ঘটনা ক্ষুদ্র্র হলেও পুজাম-পে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সারা দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মূল্যায়ন করলেও একই সঙ্গে পূজা উপলক্ষে সারা দেশে নিশ্ছি দ্র নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। চলতি বছর সারা দেশে রেকর্ড সংখ্যক পূজাম-পে বাঙালি হিন্দুদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। রাজধানীতে গত বছর যে ক্ষেত্রে ২২৯টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা হয়েছে এবার সে সংখ্যা ২৩৪-তে উন্নীত হয়েছে। এ বছর সারা দেশে দুর্গাপূজা হচ্ছে ৩০ হাজার ২৫৮টি ম-পে। গত বছরের চেয়ে এ সংখ্য ৮৬৩টি বেশি। দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার এ বছর বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে। বিভেদকামী শক্তি যাতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হানাহানি সৃষ্টি করে সে সুনামে কলঙ্ক লাগাতে না পারে সে জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তীক্ষ নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের পরিচিতি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম পালনে যেমন নিবেদিত প্রাণ তেমন অপর ধর্মের প্রতিও সহনশীল। ধর্ম যার যার উৎসব সবার এই তত্ত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বাংলাদেশের মানুষ। তাই এক ধর্মের উৎসবে অন্য ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণ এ দেশে একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত। আমরা আশা করব অন্ধকারের যেসব জীব দেশের দু-একটি স্থানে পূজাম-পে ভাঙচুর চালিয়েছে তাদের খুঁজে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব চেষ্টা করবে। পাশাপাশি দুর্গোৎসবের নিরাপত্তা রায়ও নেওয়া হবে সর্বোত্তম ব্যবস্থা। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, এ ব্যাপারে সব ধর্মের মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর