শিরোনাম
শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আর কত সড়ক দুর্ঘটনা

যানবাহন চালকদের সুমতি কাম্য

বৃহস্পতিবার সারা দেশে প্রকৌশলী, প্রভাষকসহ অন্তত ১১ জন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। চালকদের একাংশের দায়িত্বহীনভাবে গাড়ি চালানোর প্রবণতা একের পর এক দুর্ঘটনার অবতারণা ঘটাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত হচ্ছে কয়েক ডজন মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রাজধানীকে কয়েক দিন অচল করে দিলেও গাড়িচালকদের সংবেদনশীলতায় তা যে কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি তা রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোয় বাসচালকদের পাল্লাপাল্লিতে প্রমাণ পাওয়া যায়। আর দেশের মহাসড়কগুলো যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন চালকদের মধ্যে যথেচ্ছতার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তা থামানোর যেন কেউ নেই। দুনিয়ার যেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশ তার মধ্যে এগিয়ে। ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোর চেয়ে এ দেশে সড়ক দুর্ঘটনা গড়ে ২৮ গুণ। সড়ক দুর্ঘটনায় বিপুলসংখ্যক মৃত্যুর পাশাপাশি আহতদের একাংশকে সারা জীবন পঙ্গুত্বের অভিশাপে ভুগতে হয়। সড়ক দুর্ঘটনার পেছনে গাড়িচালকদের আনাড়িপনা অনেকাংশে দায়ী। এ দেশে যান্ত্রিক যানবাহন চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ নয়, উৎকোচই নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। যেনতেন প্রকারে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেলে সাত খুনও মাফ হয়ে যায়। যানবাহন চালকদের শক্তিশালী ইউনিয়নের কাছে দেশের সরকার, আইন-আদালত সবকিছু জিম্মি বললেও অত্যুক্তি হবে না। কোনো সভ্য দেশে এ ধরনের অবস্থা অকল্পনীয় হলেও আমাদের দেশে তা ঘটছে। যানবাহন চালকদের ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে রাজনীতিকদের গাঁটছড়া এ অবস্থার জন্য দায়ী। সভ্য দেশ হিসেবে নিজেদের পরিচিতি গড়ে তোলার স্বার্থে সড়ক দুর্ঘটনার মচ্ছব থামাতে সরকারকে সংকল্পবদ্ধ মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের মানুষ, না যানবাহন চালকদের ইউনিয়ন কার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশের সবচেয়ে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ হিসেবে এ বিষয়ে সরকারসংশ্লি­ষ্টরা সচেতন হবেন আমরা এমনটিই দেখতে চাই। যানবাহন চালকদের সুমতিও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর