রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কিছু কিছু পিছুটান

হানিফ সংকেত

কিছু কিছু পিছুটান

‘মানুষ একাকী চায়, নিজের ভিতরে তার নিজের সন্ধান

নিত্য দিন, নিত্য ক্ষণ অনুভব করে তাই শিকড়ের টান’

কিন্তু নিজের ভিতরে যখন সব প্রশ্নের সব উত্তর, সব সত্য খুঁজে পাওয়া যায় না তখন এক শূন্যতাবোধ তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। বিশেষ করে এমন কোনো মানুষ, যে জানে-যেখানে, যে পরিবেশে, যে সাহচর্যে সে বাস করে-তার শিকড় সেখানে নয়, অন্য কোনোখানে। এমনি এক নারী আনোয়ারা বেগম। যাকে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের টঙ্গীর কাছাকাছি একটি মাতৃসদন থেকে পাঁচ বছর বয়সে দত্তক হিসেবে নিয়ে যান নেদারল্যান্ডসের এক দম্পতি মি. এভার্ট ডেকার ও মিসেস মেরিয়েন রেজনেভেল্ড। আনোয়ারার বর্তমান বয়স ৪৫ বছর। নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করে বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডসের একটি হাসপাতালে সেবিকার কাজ করছেন।

ছোটবেলায় নেদারল্যান্ডসে গিয়ে পালক পিতা-মাতার কাছে অত্যন্ত যতেœর সঙ্গে বড় হতে থাকে আনোয়ারা, কিন্তু সবসময় কিছু স্মৃতি তাকে তাড়িত করত। বিশেষ করে-আশ্রয় কেন্দ্রের খাদ্যাভাব এবং একটি শিশুর কথা তার খুবই মনে পড়ত, দেশে থাকতে যাকে সে প্রায়ই কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াত। কিন্তু এখানে এসে দারুণভাবে সেই বোনের অনুপস্থিতি তাকে পীড়া দিতে থাকে। উল্লে­খ্য শিশুটি ছিল তারই ছোট বোন শম্পা। এবং একই সময় সেই বোনকেও নেদারল্যান্ডসের অন্য একটি পরিবার দত্তক হিসেবে নিয়ে আসে। তারপর থেকেই দুই বোন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার আগে আনোয়ারা জানত না প্রতিদিন সময়মতো খাবার পাওয়া যাবে কিনা। কারণ দেশে থাকতে প্রায়ই সে অনাহারে থাকত। হয়তো কোনোদিন এক বেলা খাবার জুটত। তাই এখানে যখন খাবার দেওয়া হতো সে সবসময় সেই খাবার লুকিয়ে রাখত। তার পালক মা ঘরে ঢুকে এক ধরনের গন্ধ পেতেন, খাবারপচা গন্ধ। ঘরময় খুঁজে আবিষ্কার করতেন আনোয়ারা ম্যাট্রেক্সের ভিতরে খাবার লুকিয়ে রেখেছে ভবিষ্যতের আশায়। তার মা রাতে তার ঘরে ঢুকে দেখতেন আনোয়ারা বিছানায় নয়, মেঝেতে শুয়ে আছে। কারণ আশ্রয় কেন্দ্রে তারা বিছানা পেত না, তাই মেঝেতে ঘুমাতেই সে অভ্যস্ত ছিল।

বড় হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি প্রশ্ন আনোয়ারার মনকে অস্থির করে তোলে। কে তার প্রকৃত বাবা-মা? তারা কোথায় কেমন আছে? মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করত-আমি দেখতে কার মতো হয়েছি? আমি কি কখনো তাদের দেখা পাব? জানতে পারব আমার ইতিহাস? আনোয়ারা খুঁজে পেতে চায় দত্তক হিসেবে নেদারল্যান্ডসে আসা তার বোনকেও। একবার নেদারল্যান্ডসের একই এলাকায় একটি মেয়েকে দেখে সে চমকে ওঠে। আনোয়ারার মনে কেন জানি বদ্ধমূল ধারণা জম্মাায় ওই মেয়েটিই নেদারল্যান্ডসে দত্তক হিসেবে আসা তার ছোট বোন। তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করতে চেষ্টা করলেও আনোয়ারার আকুলতায় সে সাড়া দেয় না। ১৫ বছর চেষ্টা করার পর অবশেষে পালক মা-বাবার সহায়তায় আনোয়ারা ও শম্পার ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় তারা আসলেই দুই বোন। আনোয়ারা ফিরে পায় তার হারিয়ে যাওয়া পরিবারের একজনকে। দীর্ঘদিন পর দুই বোন দুজনকে খুঁজে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। তবে শিশু অবস্থায় নেদারল্যান্ডসে যাওয়ার কারণে আনোয়ারার মতো শম্পার মনে বাংলাদেশের তেমন কোনো স্মৃতি নেই। কিন্তু আনোয়ারা কোনোদিনই ভুলতে পারেনি তার দেশের কথা, তাই বারবার ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে শিকড়ের টানে। ১৯ বছর বয়সে সে প্রথম ছুটে আসে বাংলাদেশে। সে সময় ঢাকার বহু প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নিয়ে, অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বাবা-মার সন্ধান না পেয়ে সে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

২৫ বছর বয়সে বিয়ে করার পর সে তার স্বামীকে নিয়ে আবার বাংলাদেশে আসে। পত্রপত্রিকা, অনলাইনসহ নানান মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে স্বজনের সন্ধান করতে থাকে। সেবারও সে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। বিয়ের পর আনোয়ারার দুটি সন্তান জম্ম  নেয়। কিন্তু দুবারই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই তারা ভূমিষ্ঠ হয়, অনেক চেষ্টা করেও তাদের বাঁচাতে পারেনি। মৃত্যুঝুঁকির কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে আর সন্তান নেয়নি আনোয়ারা। কিন্তু আনোয়ারার ইচ্ছা সন্তান-সন্ততি নিয়ে পরিবার গড়ে তোলা, আর সেখানেও রয়েছে তার দেশের প্রতি ভালোবাসা।

সে তার স্বামীকে নিয়ে আবার বাংলাদেশে আসে এবং বাংলাদেশ থেকেই দুটি কন্যা শিশুকে দত্তক হিসেবে নিয়ে যায় সে। বাংলাদেশ থেকে দত্তক নেওয়ার কারণ হিসেবে আনোয়ারা বলেন, ‘বাংলাদেশই আমার শিকড়, আমি চাই আমার এবং আমার কন্যাদের পূর্ব ইতিহাস হবে একই। বাংলাদেশই হবে তাদের মাতৃভূমি।’ এ দুই দত্তক কন্যাকে নিজের মাতৃভূমি দেখাতে তাদের নিয়ে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন আনোয়ারা। এরপর মা-বাবার খোঁজে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারিতে আনোয়ারা চতুর্থবার বাংলাদেশে আসেন। এবারও পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন-রেডিওতে প্রচার-প্রচারণা চালান। টঙ্গীর দত্তপাড়া, আড়াইহাজার, লালুরকান্দি চষে বেড়িয়েছেন, পোস্টার-লিফলেটে ছেয়ে দিয়েছেন পুরো এলাকা কিন্তু কোনো ফল হয়নি। এবার এসেও মা-বাবার সন্ধান না পেয়ে হতাশ হয়ে যখন ফিরে যাবেন, এমন সময় বিভিন্ন সূত্র থেকে তিনি জানতে পারেন একমাত্র ইত্যাদিই তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। তাদের পরামর্শে আনোয়ারা ইত্যাদির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার ধারণা ইত্যাদিতে প্রচারিত হলে তার বাবা-মা বা স্বজনদের মধ্যে কেউ বেঁচে থাকলে হয়তো তাদের সঙ্গে যোগাযোগও হতে পারে। বিভিন্ন বিদেশি এনজিওর কাছ থেকে আনোয়ারা জানতে পারেন শুধু শহরেই নয়, গ্রামেগঞ্জেও সবাই অনুষ্ঠানটি মনোযোগ দিয়ে দেখেন। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আনোয়ারা ফেব্র“য়ারির প্রথম সপ্তাহে তার এক বিদেশি বান্ধবী ডেনিস ও তার এক কর্মচারীকে নিয়ে ফাগুন অডিও ভিশনে আসেন। এসময় আনোয়ারার কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারি। আনোয়ারা বলেন, ‘যদিও নেদারল্যান্ডসে আমি আমার পালক পিতা-মাতা, স্বামী এবং দত্তক কন্যাদের নিয়ে খুব সুখেই আছি তবুও আমার অন্তর এখনো বারবার কেঁদে ওঠে বাংলাদেশে আমার বাবা-মা, স্বজনদের জন্য। মনে হয় তাদের পেলেই আমার জীবনটা সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।’

আমাদের মধ্যে অনেকেই যখন বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে রেখে আসি বৃদ্ধনিবাসে, তখন আনোয়ারা তার বিদেশের সুখের জীবন ছেড়ে ছুটে আসেন বৃদ্ধ পিতা-মাতার খোঁজে শিকড়ের টানে।

দেশপ্রেম, দেশের মাটি, দেশের আপন স্বজন, নিজের শিকড়কে নিয়ে আনোয়ারার মতো আমরা কজন ভাবী? আনোয়ারার এ ভালোবাসা, এ আবেগ দেখে আমরা অভিভূত হয়ে পড়ি। সিদ্ধান্ত নেই ইত্যাদিতে বিষয়টি তুলে ধরব।

১৯৯২ সালের প্রথমদিকে আনোয়ারা প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, মাতৃভূমির বুকে প্রথম পা রেখে তার কেমন অনুভূতি হয়েছিল?

আনোয়ারা প্রচ- উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জানায়, ‘প্লে­ন থেকে প্রথমে বাংলাদেশে পা রেখে আমি চোখ বন্ধ করে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়েছিলাম, মনে হয়েছিল যেন বাড়ির গন্ধ পেলাম।’

যদিও আনোয়ারার বাড়ি বাংলাদেশে কিন্তু শিশু বয়সে বিদেশে চলে যাওয়ায় বাংলা চর্চার অভাবে বাংলা বলতে পারেন না। তবে কিছু কিছু শব্দ বোঝেন। জানতে চেয়েছিলাম, বাংলাদেশে বাংলা ভাষা শুনে তার কেমন অনুভূতি হয়েছিল?

আনোয়ারা সহজভাবে উত্তর দেয়, ‘যখন আমি বাংলা ভাষা শুনি তখন তা আমার কানে সংগীতের সুরে বাজে। আমি এ ভাষাকে খুব ভালোবাসি। আমি বাংলা ভাষা বুঝি না, কিন্তু আমি বাংলায় স্বপ্ন দেখি।’ আর আনোয়ারার এসব কাহিনী নিয়েই আমরা একটি প্রতিবেদন প্রচার করি ৩০ মার্চ ২০১৮ তারিখে প্রচারিত ইত্যাদিতে। ইত্যাদি প্রচারের পরদিনই অর্থাৎ গত ৩১ মার্চ ২০১৮ ঐশী নামক এক তরুণী আমাদের জানান আনোয়ারার পরিবারকে খুঁজে পাওয়া গেছে এবং তারা তাদের গ্রামেই বসবাস করেন। গত ১ এপ্রিল ঐশী আমাদের আমন্ত্রণে আনোয়ারার ভাই ছুতু এবং বোন সুলেমুন্নেসাকে নিয়ে ঢাকায় ফাগুন অডিও ভিশনে আসেন। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে স্কাইপের মাধ্যমে আনোয়ারার সঙ্গে তার ভাইবোনের যোগাযোগ করিয়ে দেই। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ভাইবোনের সঙ্গে আনোয়ারার এই যোগাযোগের দৃশ্যটি ছিল অভূতপূর্ব আবেগেকম্পিত। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা এ দুই ভাইবোনের ডিএনএ পরীক্ষা করে হল্যান্ডে পাঠিয়ে দেই। হল্যান্ড থেকে উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে একসময় আনোয়ারা জানান, ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে ছুতু, সুলেমুন্নেসা ও আনোয়ারার মধ্যে রয়েছে রক্তের বন্ধন। তারা আপন ভাই-বোন। গত ১৬ জুলাই ২০১৮ আনোয়ারা তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে স্বামী সন্তানসহ বাংলাদেশে আসেন এবং ১৭ জুলাই ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও যান, যেখানে রয়েছে আনোয়ারার পৈতৃক ভিটা। নিজ গ্রামে নিজ বাড়ির উঠোনে ভাইবোনদের সঙ্গে প্রথম দেখার সেই মুহূর্ত এতটাই আবেগপূর্ণ যে, কেউ কারও মুখের ভাষা না বুঝলেও আবেগের ভাষায় যেন বলা হয়ে গেল সব। সেই মিলনদৃশ্যে শুধু এই তিন ভাইবোনই নয়, তাদের সঙ্গে উপস্থিত গ্রামের মানুষদেরও চোখও ভিজে যায় আনন্দাশ্র“তে।

আনোয়ারার বাবা ছিলেন দিনমজুর এবং মা গৃহপরিচারিকা। আনোয়ারার বাবা-মার মৃত্যুর পর তাদের একমাত্র ভাই এবং এক বোন গফরগাঁওয়ের খাড়–য়ামুকুন্দ গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করতেন।

ইত্যাদিতে প্রচারের পর যিনি প্রথম আনোয়ারাকে চিনতে পারেন তিনি হচ্ছেন এ গ্রামেরই বাসিন্দা ঐশীর বাবা শ্যামল দত্ত। গফরগাঁও সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লেখকের কাজ করেন। এই শ্যামল দত্তের বাড়িতে আনোয়ারার মা দীর্ঘদিন গৃহপরিচারিকার কাজ করেছিলেন।

শ্যামল দত্তের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ইত্যাদিতে একবার দেখেই তিনি কীভাবে আনোয়ারাকে চিনতে পারলেন? অর্থাৎ দীর্ঘ ৪০ বছর পরেও তিনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন, এই আনোয়ারাই সেই হারিয়ে যাওয়া পাঁচ বছরের শিশু? তিনি জানালেন ইত্যাদিতে বর্ণিত আনোয়ারার কাহিনী শুনে এবং তার চেহারা দেখে তিনি নিশ্চিত হয়েছিলেন এই আনোয়ারাই সেই আনোয়ারা। তাছাড়া আনোয়ারা দেখতে নাকি অবিকল তার মায়ের মতোই।

ভাইবোনকে পেয়ে আনোয়ারা বলেন, ‘প্রথম আমার হৃদয় ফাঁকা ছিল কিন্তু এখন এটা আমার ভাইবোন দিয়ে পরিপূর্ণ।’

হল্যান্ডের ৪০ বছরের বিদেশি সংস্কৃতি এবং পরিবেশ থেকে হঠাৎ খাড়–য়ামুকন্দ গ্রামের এই পরিবেশে এসে আনোয়ারা বলেন, ‘এটা সংস্কৃতি বা পরিবেশের বিষয় না, এটা আমার শিকড় এবং আত্মপরিচয়ের ব্যাপার। আমার দেশমাতৃকার বিষয়।’

আনোয়ারার ভিনদেশি স্বামী টমাস প্রথম শ্বশুরবাড়িতে আসার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘তারা আমাদের অনেক যত্ন করেছে। শুধু আমাকেই নয়, আমার স্ত্রী এবং সন্তানদেরও। তারা আমাদের ঘরে নিয়েছে, ফলমূল খেতে দিয়েছে। আমরা যা চেয়েছি তারা তাই দিয়েছে। আমাদের সত্যিই মনে হচ্ছে যে আমরা বাড়ি ফিরে এসেছি। যদিও আমার বাড়ি এখানে নয়, তবুও আমার মনে হচ্ছে আমিও বাড়ি ফিরে এসেছি।’

সবশেষে আনোয়ারা বললেন, ‘তিনি তার পরিবারকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। যাতে তাদের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসে।’

প্রিয় পাঠক, আমরা যখন প্রায়ই দেখছি, পারিবারিক বন্ধনগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, নাগরিক জীবনে দেখা যায় একরাশ কষ্ট নিয়ে শেষ জীবনে অনেক বাবা-মার স্থান হচ্ছে বয়স্ক নিবাসে। এই সামাজিক চিত্রের বিপরীতে আনোয়ারা প্রমাণ করলেন দেশের মাটি, আপনজন ও রক্তের বাঁধন আসলে ছিন্ন হওয়ার নয়।

আসলে কিছু কিছু পিছুটান যা এমনি তীব্র হয়, যা আনোয়ারাকেও বারবার টেনে এনেছে তার মাতৃভূমি এই বাংলাদেশে। যেখানকার মাটির গন্ধই তাকে উদ্বেল করেছিল, তার ভিতরে প্রচন্ড আকাক্সক্ষার জম্ম  দিয়েছিল শিকড় অনুসন্ধানের। রক্তের বন্ধন আপন-স্বজনের বিস্তৃতি পেরিয়ে স্মৃতিকাতর করেছিল তাকে। টেনে এনেছিল ইত্যাদির মাধ্যমে সেই স্বজনের খোঁজে অব্যর্থ প্রয়াসে। আনোয়ারার আপনজন খুঁজে পাওয়ার স্বার্থকতায় ইত্যাদিও তার মতোই আনন্দিত।

লেখক : গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পরিবেশ ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর