শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর সৌদি সফর

দুই দেশের বন্ধুত্ব জোরদার করবে

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক ইতিহাসের নিরিখে প্রায় ১৪০০ বছরের পুরনো। দুই পবিত্র মসজিদের দেশ ও ইসলামের সূতিকাগার সৌদি আরবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর এ সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এমনটিই আশা করা যায়। সৌদি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই পবিত্র নগরী মক্কা-মদিনার দেশ সফর করছেন এবং ইতিমধ্যে বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করে দুই দেশের বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। সফরকালে বাদশাহ সালমান ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে তারা সহযোগিতার সুযোগগুলো কাজে লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যা এ সফরের একটি ইতিবাচক অর্জন। প্রধানমন্ত্রী তার সফরকালে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন করছেন। প্রশস্ত পরিসরে নির্মিত এ ভবন প্রবাসীদের সেবাদানে বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি করবে এমনটিই প্রত্যাশিত। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সৌদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, টেলিকমিউনিকেশন এবং তথ্যপ্রযুক্তি, পেট্রোকেমিক্যাল, ওষুধশিল্প, জাহাজ নির্মাণ ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বজায় রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আইন দ্বারা সুরক্ষিত সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ, ট্যাক্স হলিডে, যন্ত্রাংশ আমদানিতে স্বল্প শুল্ক, বিনাশুল্কে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির সুযোগ, রেমিট্যান্স অন রয়্যালিটি, শতভাগ ফরেন ইক্যুয়িটির নিশ্চয়তা এবং লাভ ও পুঁজিসহ বিনাবাধায় চলে যাওয়ার সুবিধা। বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদি আরবের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিরাজ করছে সপ্তম শতক থেকে। ক্রয়ক্ষমতার বিচারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বব্যাপী চলমান মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত এক দশকে ৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে সৌদি আরব এগিয়ে এলে তা মুসলিম উম্মাহর দুটি নেতৃস্থানীয় দেশের বন্ধুত্ব বৃদ্ধিসহ দুই দেশের জনগণকে লাভবান করবে।

সর্বশেষ খবর