মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

বাদশাহ হুমায়ুন

পাঠান শের শাহ সুরি যখন তার বিজয়রথ চালাতে চালাতে আগ্রা এসে পৌঁছলেন, মোগল বাদশাহ হুমায়ুন লাহোরে পালিয়ে গেলেন। তারপর রচিত হলো এক দীর্ঘ অনিশ্চিত পথে যাত্রার ইতিহাস।
১৫৪০ সালে পলাতক জীবনেও বাদশাহ হুমায়ুন মনোবল হারাননি। পরিবার-পরিজনসহ তার সঙ্গী ছিল বিরাট এক দল। তাতে পাইক-বরকন্দাজ আছে, সেনা সদস্যরাও আছে। শের শাহ হুমায়ুনকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন। আফগানদের কাছেও খবর পাঠিয়ে রেখেছিলেন যেন হুমায়ুনকে শান্তি না দেয়। শের শাহ নিজে একজন পাঠান বা পাখতুন। সুরি তার গোত্রের নাম। শের উপাধি তাকে দেওয়া হয়েছিল কারণ যৌবনে বাঘ মেরেছিলেন।
তার আসল নাম ফরিদ খান। হুমায়ুন একপর্যায়ে শের শাহের কাছে বার্তা পাঠালেন, আমি আপনার কাছে হিন্দুস্তান ছেড়ে এসেছি, আপনি লাহোর ছাড়ুন এবং পাঞ্জাবের সিরহিন্দকে আমাদের মাঝে সীমানা হিসেবে রাখুন। শের শাহ উত্তর দিলেন, আপনার জন্য আমি কাবুল ছেড়ে এসেছি, আপনি বরং সেখানে গিয়ে দেখুন। ওদিকে নিজের ভাই মির্জা কামরান হুমায়ুনকে কাবুলে প্রবেশ করতে দেবেন না বলে জানান। হুমায়ুনের সেনাদল কামরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু পিতৃ আজ্ঞার (ভাইয়ে ভাইয়ে বিবাদ করো না) কথা মনে রেখে হুমায়ুন মুলতানের পথ ধরলেন।
১৫৪১ সালে সিন্ধুর তীর ধরে এগোতে থাকলেন হুমায়ুন। ভাই হিন্দালকে পাঠালেন দাদু নামে সিন্ধের এক জায়গার খবর নিতে। হিন্দাল সবুজ সংকেত দিলে তিনি দাদুতে ভাইয়ের সঙ্গে মিলিত হন এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন। হিন্দালের এক শিক্ষকের মেয়ে হামিদা বানুও ছিলেন দলে। তখন তার বয়স ১৪ বছর। হিন্দালের তার প্রতি আগ্রহ ছিল।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর