বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংলাপ সফল হোক

পূরণ হোক ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা

দেশের ১৬ কোটি মানুষের দৃষ্টি এখন সংলাপের দিকে। একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দলের সঙ্গে বিরোধী দলের এ সংলাপকে দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক শাসনের জন্য সুখবর হিসেবে দেখা হচ্ছে। আজ গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে দুই পক্ষ আগামী সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ এবং সব দলের জন্য সমান পরিবেশ সৃষ্টির প্রশ্নে আলোচনা করবে। সংলাপে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পক্ষান্তরে ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাঁচ বছর ধরে নির্বাচন প্রশ্নে সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করা হচ্ছিল। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগণনার প্রাক্কালে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দিলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়। শুধু ঐক্যফ্রন্ট নয়, আওয়ামী লীগ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে বিকল্পধারাকেও আগামীকাল ২ নভেম্বর সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশে অতীতে নির্বাচন প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে এ যাবৎ যতগুলো সংলাপ হয়েছে তার কোনোটিই সফল হয়নি। তবে আজ যে সংলাপ শুরু হচ্ছে তাতে আশাবাদী হওয়ার কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রথমত, সংলাপে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতীতে বিভিন্ন আমলে যেসব সংলাপ হয়েছে তার সবকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধারণ সম্পাদক বা মহাসচিব পর্যায়ে। যাদের সরাসরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। দ্বিতীয়ত, সরকারি দল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে। দেশের রাজনীতির ওপর আওয়ামী লীগের সুদৃঢ় নিয়ন্ত্রণ থাকায় তারা সংবিধানের আওতায় নির্বাচনের সমতল মাঠ সৃষ্টিতে সর্বোচ্চ ছাড় দিতে প্রস্তুত বলেও মনে হচ্ছে। আমরা আশা করব সংলাপে ব্যক্তি, দল বা জোটবিশেষের স্বার্থ রক্ষার চেয়ে ১৬ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক পথযাত্রা, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ রচনায় সংলাপ সফল ও সার্থক হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর