মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

কওমি শিক্ষার স্বীকৃতি

জাতীয় ঐক্য শক্তিশালী করবে

কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজের মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতি দেওয়ায় গত রবিবার শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করেছিল কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা আল হাইয়াতুল উলয়া-লিল জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। লাখ লাখ কওমি শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন শিক্ষা তখনই পূর্ণাঙ্গ হয়, যখন ধর্মীয় শিক্ষাও গ্রহণ করা যায়। লাখ লাখ শিক্ষার্থী কওমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন। তাদের সে শিক্ষার যদি স্বীকৃতি না থাকে তবে তারা কোথায় যাবেন? যে কারণে সরকার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃ-ত্বাধীন সরকার ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট, মসজিদভিত্তিক উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ সম্প্রসারণ, স্বতন্ত্র আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বাংলাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার করার উদ্যোগও হাতে নিয়েছে। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি আগেও ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ১৯৭৭ সালে এই স্বীকৃতি বাতিল হয়। কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ স্বীকৃতি পাওয়ায় কওমি শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে চাকরি পাবেন, তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন। দেশের শীর্ষ আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, যারা এতিমদের শিক্ষা দেন তাদের স্বীকৃতি আমরা কেন দেব না? সবচেয়ে বড় কথা যারা এতিম ও হতদরিদ্র, যাদের যাওয়ার জায়গা নেই কওমি মাদ্রাসায় তাদের ঠাঁই মিলছে। তাই সরকার তাদের স্বীকৃতিদানে এগিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শোকরানা মাহফিলে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির প্রশ্নে যে বক্তব্য রেখেছেন তা তাৎপর্যের দাবিদার। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে লাখ লাখ কওমি শিক্ষার্থীকে দেশের শিক্ষার মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাকারী মওদুদীবাদীদের বিরোধী। তাদের প্রাপ্য মর্যাদা দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকেই বরং সুসংহত করা হয়েছে। আমরা আশা করব এ স্বীকৃতি দেশ গঠন ও জাতীয় ঐক্য জোরদারে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর ভূমিকা নিশ্চিত করবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর