বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা ও শৃঙ্খলা

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চাই সচেতনতা ও শৃঙ্খলা

‘ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধি হোক প্রতিটি পরিবারে’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখেই প্রতি বছরের মতো এবারও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। ১৪ নভেম্বর ইনসুলিনের আবিষ্কারক ফ্রেডারিক ব্যান্টিং স্যাঙ্গারের জম্ম দিনে পালিত হয় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস।

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস এক মহামারি রোগ। কয়েক দশক আগেও এ রোগের পরিচিতি ও ভয়াবহতা মানুষের জানা ছিল না। অথচ বর্তমানে শুধু উন্নত বিশ্বেই নয়, বরং উন্নয়নশীল ও অনুন্নত বিশ্বেও অসংক্রামক ব্যাধির মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু শহরাঞ্চলে নয়, গ্রামীণ জনপদে এমনকি শিশুদের মধ্যেও এ রোগ বিস্তার লাভ করে চলেছে। ফলে সমাজ হারাচ্ছে কর্মক্ষম ও সম্ভাবনাময় তরুণ-যুবা প্রজম্ম কে, যার সামাজিক ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব গোটা জাতিকে স্থবির করে দিচ্ছে। বেড়ে যাচ্ছে অন্ধত্ব, স্নায়ুরোগ, কিডনি ও হৃদযন্ত্র বিকল হওয়া, পায়ে আলসার এবং পরিণামে পা কেটে ফেলতে বাধ্য হওয়ার মতো ভয়াবহ জটিলতাগুলো। অসংখ্য মানুষ নিজেদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে, পরিবারের ও সমাজের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

আগে মানুষের গড় আয়ু ছিল অনেক কম। কলেরা, ডায়রিয়া, বসন্ত ইত্যাদি সংক্রামক রোগের আক্রমণে মানুষ মারা যেত বেশি, উজাড় হতো গ্রামের পর গ্রাম। উন্নততর চিকিৎসা, নিরাপদ পানি ও খাদ্যের সরবরাহ, বিভিন্ন রোগের টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে সংক্রামক ব্যাধি কমে যাওয়ায় মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে অনেক। আর বয়সজনিত জটিলতা যেমন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদি এখন হয়ে উঠেছে বড় ঘাতক।

বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশে খুব দ্রুত নগরায়ণ হচ্ছে। স্থূলতা, কায়িক শ্রম ও ব্যায়ামের অভাব, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অধিক ক্যালরি, চর্বি এবং শর্করাজাতীয় খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস, খেলার মাঠের অভাব, বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা বা খেলাধুলার সংস্কৃতির বিলোপ, টেলিভিশন আর কম্পিউটার গেম ও ফেসবুক, শহুরে অলস জীবনযাপন, গাড়ি-লিফট-চলন্ত সিঁড়ি ব্যবহারের প্রবণতা, এসবের প্রতিটি ডায়াবেটিস নামক নীরব ঘাতকটির মহামারি সৃষ্টির একেকটি অনুঘটক। অন্যদিকে বাচ্চাদের বেলায় ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনার অত্যধিক প্রতিযোগিতা, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ, খেলাধুলার প্রতি অনীহা বা পড়াশোনার ব্যস্ততায় সময়ের অভাব, মানুষকে আরও বেশি অলস জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে তুলছে। গ্রামের শিশুদের ছেলেবেলার অপুষ্টি এবং বড় হয়ে শহরে অভিবাসনের পর অধিক পুষ্টির মন্দ চক্রও ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।

ডায়াবেটিস কী এবং কেন? : শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট বিপাক ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনের নাম ইনসুলিন। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত এ হরমোন শরীরের কোষে গ্লøুকোজ প্রবিষ্ট করতে এবং সেই গ্ল­ুকোজকে ‘গ্লøাইকোলাইসিস’ নামক বিপাকীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের জন্য শক্তি উৎপাদন করতে সহায়তা করে, আবার অতিরিক্ত গ্লুুকোজকে লিভারে গ্লাইকোজেন হিসেবে সঞ্চয় করে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ একটি স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। এ হরমোন অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত নিঃসৃত না হলে বা ঘাটতি হলে বা উৎপাদিত ইনসুলিন কোষে কার্যকর না হলে বা শরীরের ইনসুলিন নিষ্ক্রিয় থাকলে রক্তে গ্ল­ুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পায় এবং প্রস্রাবের সঙ্গে গ্ল­ুকোজ বের হয়ে যায়। এটিই হচ্ছে ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা বহুমূত্র রোগ। অনেকেই একসময় ডায়াবেটিসের গ্লুকোজসমৃদ্ধ প্রস্রাবকে ‘মধুমূত্র’ নামে আখ্যায়িত করতেন। নামের সঙ্গে মধুর সংশ্রব থাকলেও আসলে তা যে মধুময় নয়, তা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন।

ডায়াবেটিস সাধারণত দুই রকম টাইপ-১ বা ইনসুলিননির্ভর ডায়াবেটিস, যা মূলত কম বয়সে হয়। তাতে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরি করার ক্ষমতা হারায় এবং এসব রোগীর ইনসুলিন অপরিহার্য। আরেকটি হচ্ছে টাইপ-২ বা ইনসুলিন-অনির্ভর ডায়াবেটিস।

বিশ্বজুড়ে ৮০ শতাংশ হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস, যা বয়স্কদের হয়। স্থূলতা বা ওজন বৃদ্ধি, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা, মানসিক চাপ, ধূমপান ইত্যাদি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। বর্তমানে একই সঙ্গে বাড়ছে নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা ‘জি ডি এম’-এর প্রবণতা।

বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন বয়সে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যেমন, টাইপ-১। জম্ম গত কিংবা পরিবেশগত কারণে এর প্রকোপ দেখা যায়। বছরে তিন শতাংশ হারে এ ডায়াবেটিস বাড়ছে এবং সাধারণত তরুণরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে টাইপ-২ অতিরিক্ত ওজন, মেদবাহুল্য, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, উচ্চ শর্করা ও কম আঁশযুক্ত খাদ্যাভ্যাস থাকলে এ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বংশগত কারণেও এ ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। বাবা-মা কারও একজনের ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে, আবার বাবা-মা দুজনেরই থাকলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা অনেক গুণ বেড়ে যায়।

অনেক সময় শুধু গর্ভকালেই ডায়াবেটিসের উদ্ভব ঘটে। মেডিকেল সায়েন্সের পরিভাষায় একে বলে ‘জি ডি এম’ । এটি মা ও শিশুর অসংখ্য জটিলতার কারণ হতে পারে। সঠিক কারণ জানা না গেলেও পরিবারে ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরও মায়ের স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ : ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ ইংরেজির তিনটি ‘পি’ পলিফেজিয়া বা অধিক ক্ষুধা লাগা, পলিডিপসিয়া বা অধিক তৃষ্ণা এবং পলিইউরিয়া বা অতিরিক্ত ঘন ঘন প্রস্রাব। আরও কিছু লক্ষণ :

* মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন।

* স্বল্প সময়ে জানা কোনো রোগ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া, দুর্বল বোধ করা বা অবসাদ।

* ঘন ঘন শরীরে ফোঁড়া, জিবে সাদা ক্যানডিডার আক্রমণ, মহিলাদের যৌনাঙ্গে ছত্রাকজাতীয় রোগের আক্রমণ, পায়ে ঘা বা পায়ের আঙুলের মাঝে ছত্রাকের আক্রমণ।

* ঘা বা ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া।

* হাত-পা অবশ হয়ে আসা বা ভারী ভারী লাগা, মেডিকেল টার্মে এগুলোকে নিউরোপ্যাথি বলে, যার অন্যতম কারণ ডায়াবেটিস।

* খোলা জায়গায় প্রস্রাব করলে সেখানে পিঁপড়া আসা।

* অনেক রোগীর ডায়াবেটিসের কোনো লক্ষণ না-ও থাকতে পারে। অন্য কোনো রোগের জন্য সুগার পরীক্ষা করাতে গিয়ে এ ডায়াবেটিস প্রথমবার ধরা পড়ে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে করণীয় : ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। একবার আক্রান্ত হলে নিরাময়ের আশা একেবারেই ক্ষীণ। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কিছু নয়। তাই রোগ হওয়ার আগেই একে প্রতিরোধ করা জরুরি। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো :

* খাদ্যাভ্যাস : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি নিয়মতান্ত্রিক খাদ্যাভ্যাস। পরিমাণমতো খাওয়ার অভ্যাস, বেশি বেশি সবুজ শাক-সবজি, কম চর্বি ও কম শর্করাযুক্ত খাদ্য গ্রহণ এবং অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট, আইসক্রিম, চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বর্জন বা কম খাওয়া।

* কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম : ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। সামর্থ্য অনুযায়ী নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস, সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটাচলা, অল্প দূরত্বে রিকশা বা গাড়ি ব্যবহার না করা, অল্প কয়েক তলার জন্য লিফট ব্যবহার না করা, সম্ভব হলে সাঁতার, জগিং এবং শিশু, কিশোর ও বয়স্ক সবার মধ্যেই কায়িক শ্রমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। জেনে রাখা ভালো, ব্যায়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা ও নিঃসরণ বাড়ায়, রক্তের ভালো কলেস্টেরল কমায়।

* শিক্ষা ও সচেতনতা : ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে পাঠ্যপুস্তকে সঠিক জীবনাচরণ সম্পর্কে তথ্য অন্তর্ভুক্তি, মিডিয়ায় গণসচেতনতা, শিক্ষক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং সামাজিক নেতাদের প্রশিক্ষণ, সমাজকর্মীদের সচেতন করে তোলা, সচেতনতায় ক্যাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। বংশগত বিষয়টি যেহেতু এড়ানো সম্ভব নয় তাই অন্য ঝুঁকিগুলো কমিয়ে ফেলতে হবে। ৩৫ বছরের পর থেকে বছরে অন্তত একবার রক্তের সুগার পরীক্ষা, ওজন হ্রাস, দুর্বলতা, পিপাসা বৃদ্ধি বা ঘন ঘন প্রস্রাব ইত্যাদি কোনো লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে রক্তের সুগার পরীক্ষা করে নেওয়া, পরিবারে ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে এমন কেউ সন্তান ধারণের পর রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা, গর্ভধারণের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে অবশ্যই সুগার পরীক্ষা করা ইত্যাদির মাধ্যমে ডায়াবেটিস শনাক্ত করা যায়। রোগীদের নিজেরই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার দক্ষতা অর্জন করা দরকার। জীবনপ্রণালির কাক্সিক্ষত পরিবর্তন, রোগের লক্ষণ ও ঝুঁকি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন, কখন কেন সুগার পরীক্ষা করা জরুরি, পরীক্ষার সহজলভ্যতা ও ব্যয় সংকোচন এ বিষয়গুলো সবার জানা উচিত।

* শৃঙ্খলা : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মূল ভিত্তিই হলো সুশৃঙ্খল জীবনযাপন। নিয়মমাফিক খাওয়া-দাওয়া, ঠিকমতো হাঁটাচলা বা ব্যায়াম, ওষুধপত্র ব্যবহার ইত্যাদি যারা মেনে চলে তারা যেমন ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকতে পারবে তেমনি আক্রান্ত হলেও সহজেই একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাপন যেমন সম্ভব তেমনি ডায়াবেটিসজনিত জটিলতা থেকেও বাঁচা সম্ভব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা দেখার জন্য মাঝেমধ্যে রক্তের সুগার টেস্ট করাতে হয়। স্বল্প দামের গ্লুকোমিটার দিয়ে বাড়িতে বসে সহজেই এটি করা যায়। অভুক্ত অবস্থায় রক্তের সুগারের পরিমাণ ৬ মিলিমোল এবং খাওয়ার পরে ৮ মিলিমোল কাছাকাছি হলে ভালো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করতে হবে। রক্তের HbA1c মেপেও নিয়ন্ত্রণের ধারণা করা যায়। HbA1c ৭% নিচে হলে তিন মাস ধরে সুগার ভালো নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।

চিকিৎসা পদ্ধতি : ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য সংক্ষিপ্ত তিনটি ‘ডি’ অনুসরণীয় :

* প্রথম ‘ডি’ - ডায়েট বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ৬০ থেকে ৮০ ভাগ রোগী এতেই ভালো থাকেন।

* দ্বিতীয় ‘ডি’ - ডিসিপ্লি­ন বা শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন।

* তৃতীয় ‘ডি’ - ড্রাগ বা ওষুধ, খুব অল্পসংখ্যক রোগীরই এর প্রয়োজন পড়বে।

মনে রাখতে হবে, প্রথম ও দ্বিতীয় ‘ডি’ অর্থাৎ শৃঙ্খলা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, ওষুধের ভূমিকা এখানে খুব কম। আবার প্রথম দুটি ‘ডি’কে বাদ দিয়ে শুধু ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ খুবই দুরূহ।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা একটি সমন্বিত সামাজিক পদক্ষেপ। সরকার, চিকিৎসক, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও একার পক্ষে কখনো এই বিপুল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সমাজের প্রতি স্তরে ব্যক্তি থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলেই ডায়াবেটিসের কার্যকর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। অনিরাময়যোগ্য রোগ হলেও একে নিয়ন্ত্রণে রেখেই সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম জীবনযাপন করা যায়। তাই ডায়াবেটিসের মহামারি রোধে আজকের স্লে­াগান হোক ‘পরিমিত খাবার ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করি এবং একটি সুস্থ, কর্মোদ্যম ও প্রাণবন্ত জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবাই মিলে এই নীরব ঘাতকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি’।

লেখক : ডিন, মেডিসিন অনুষদ, চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সর্বশেষ খবর