শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিরপুর টেস্টে জয়

টাইগারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে

জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেস্ট, ওয়ান ডে, কিংবা টি-টোয়েন্টি সব ধরনের ক্রিকেটেই এগিয়ে। ফলে একসময়ের দাপুটে এ দলটির বিরুদ্ধে কোনো ফরম্যাটে জয়ী হলে বাড়তি উল্লাস প্রকাশের সুযোগ নেই। বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর পরও বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে যেমন বাড়তি উল্লাস দেখা যায়নি, তেমন সমর্থকদের মধ্যেও ছিল না বাড়াবাড়ি। তবে তা যে টাইগারদের জন্য স্বস্তির জয় ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সিলেট টেস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে হারার পর টেস্টে বাংলাদেশের সামর্থ্য নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়। মিরপুর টেস্টে হেসেখেলে জিতে টাইগাররা সিরিজের সমতা এনেছে। পাশাপাশি প্রমাণ করেছে সিলেট টেস্ট ছিল দুর্ঘটনা। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ব্যাটসম্যানরা রানে ফিরেছেন। সাকিব আল হাসান না থাকলেও স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছেন। দুই ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজ-সেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম আর ১১ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি মিরপুর টেস্টে দাপট দেখিয়েছেন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ধসও নামিয়েছেন তিনি। ৩৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। দুই ইনিংস মিলে ৯৫ রান ও ৮ উইকেট নিয়ে পারফেক্ট অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেছেন। প্রথম ইনিংসে ২১৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ তকমা বুকিং দিয়ে রেখেছিলেন মুশফিক। মিরপুর টেস্টে জিম্বাবুয়ের জয়ের কোনো সুযোগই ছিল না। শেষ দিনে তাদের দরকার ছিল আরও ৩৬৭ রান। জেতার অসম্ভব পথে না গিয়ে ব্যাটিং-উপযোগী উইকেটে ড্র করার স্বপ্ন দেখছিল তারা তবে সে চেষ্টা সফল হয়নি। বাংলাদেশ সিরিজ জিততে না পারলেও শেষ ম্যাচে জয়ে বেড়ে গেছে আত্মবিশ্বাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তা কাজে লাগাতে পারলে সেটি হবে এক বিরাট অর্জন। মিরপুর টেস্টে বড় ধরনের জয় সিলেটে লজ্জাজনক পরাজয়ের স্মৃতি ভোলাতে সাহায্য করবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। বড় মাপের এ জয় টাইগারদের মধ্যে দৃঢ়প্রত্যয়ী মনোভাবের বিকাশ ঘটাবে এমনটিও প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর