শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভেষজ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কামরাঙা

আফতাব চৌধুরী

সুগার কিছুতেই কমছে না? বাড়ছে কলেস্টেরল? রক্তচাপও সামলাতে পারছেন না? চিন্তায় পড়ে গেছেন? না, চিন্তা করবেন না। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি একটু ফল খান। না, না আপেল, পেয়ারা নয়, একেবারে আমল না-দেওয়া সেই ফল যা আমরা দেখেও খাই না। হ্যাঁ কামরাঙা। দিনে এক কাপ কামরাঙা রস কিংবা দুটো কামরাঙা খেতে পারলেই কেল্লা ফতে। কাঁচা হোক কিংবা পাকা, কামরাঙা খাওয়ার ফল আপনি দেখতে পাবেন ১৫ দিনের মধ্যে। কামরাঙা ফলের পাশাপাশি কামরাঙা গাছের পাতাও খুবই উপকারী। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বাংলা কামরাঙা ফলকে এখন ম্যাজিক ফল বলে ডাকছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, কম দামি কামরাঙায় ‘ভিটামিন বি৯’ বা ফলিক অ্যাসিড থাকে প্রচুর। এটি হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়। বাড়ায় রক্তপ্রবাহের তেজ। আঙুর, আনারস বা আমের তুলনায় কামরাঙায় ‘ভিটামিন সি’ বেশি। আয়রনের পরিমাণ কমলালেবু, পাকা পেঁপে, লিচু কিংবা কাঁঠালের থেকে অনেক বেশি। সবার একটাই কথা সবসময় তো আর কামরাঙা পাওয়া যায় না। ঠিক কথা। কিন্তু যখন পাচ্ছেন কামরাঙা তখন তা দিয়ে চাটনি, জ্যাম, জেলি করে রাখতেই পারেন। পরে তা খাওয়া যেতে পারে দীর্ঘদিন। পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন ফল মিলবেই একই রকম। গবেষণায় দেখা গেছে, কামরাঙায় ‘ভিটামিন বি৫’ ও ‘ভিটামিন বি৬’ প্রচুর থাকে। এ দুই ভিটামিনই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ সহায়ক। রক্ত সঞ্চালন অনায়াস করতেও এ দুই ভিটামিনের জুড়ি নেই। তাই এক কামরাঙা কলেস্টেরল আর হাইপারটেনশনের চাপও কমিয়ে দেয়। কামরাঙায় থাকা ইলাজিক অ্যাসিড নামে অ্যাসিড হলেও এটি একটি উদ্ভিজ্জ অ্যাস্টি-অক্সিডেন্ট। ইলাজিক অ্যাসিড খাদ্যনালির ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে প্রচুর ট্যানিন। এ যৌগ দেহের অভ্যন্তরের যে কোনো রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। সর্দি-কাশি রুখতে দারুণ উপকারী কামরাঙা। এ ছাড়া কামরাঙা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত উজ্জ্বল করে।

সর্বশেষ খবর