রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মিসওয়াকের গুরুত্ব ও উপকারিতা

মাওলানা মোশাররফ মাহমুদ

মিসওয়াক একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রসুলুল্লাহ সাল্ল­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের ওপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদের প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।’ নাসায়ি। এ হাদিসেরে দ্বারা বোঝা যায়, প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করা কত বড় ফজিলতপূর্ণ। কিন্তু তিনি নির্দেশ দেননি। কারণ নির্দেশ দিলে উম্মতের ওপর আমল করা আবশ্যক হয়ে যাবে। আর নির্দেশ পালন করতে না পারলে গুনাহগার হতে হবে। তাই তিনি হিকমতের সঙ্গে মিসওয়াকের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্ল­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়াসাল্ল­াম বলেছেন, ‘মিসওয়াক মুখের পবিত্রতার উপকরণ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায়।’ হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুল সাল্ল­াল্ল­­াহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি তোমাদের মিসওয়াক করার ব্যাপারে বার বার উৎসাহিত করছি।’  অজু ও নামাজের সময়গুলোতে মিসওয়াক করা মুস্তাহাব। যেমন, দাঁত হলদে ও ময়লাযুক্ত হলে। মুখ দুর্গন্ধযুক্ত হলে। নিদ্রা থেকে ওঠার পর। সফর থেকে আসার পর। কোরআন তিলাওয়াতের প্রাক্কালে। দীর্ঘ সময় চুপ থাকলে। দীর্ঘ সময় কথা বললে। খাবারের পর। দুর্গন্ধযুক্ত খাবার ভক্ষণের পর। বেশি কথাবার্তা বলার পর। একটি হাদিসে এসেছে, রসুল সাল্ল­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়াসাল্ল­াম যখন রাতে নামাজ পড়ার জন্য উঠতেন, তখন মিসওয়াক করতেন।

এক সাহাবি হজরত আয়েশা (রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলেন, রসুল সাল্ল­­াল্ল­াহু আলাইহি ওয়াসাল্ল­াম যখন ঘরে আসেন সর্বপ্রথম তিনি কী করতেন? হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুল সাল্ল­­াল্ল­­াহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে আসতেন, তখন সর্বপ্রথম তিনি মিসওয়াক করতেন।

            লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক

সর্বশেষ খবর