সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

হোসাইন শিবির অবরুদ্ধ

ইয়াজিদ বাহিনীর বাধা এড়াতে ইমাম  হোসাইন ক্ষুদ্র দলসহ কুফা ডান দিকে রেখে ফোরাত নদের পশ্চিম শাখার তীর বেয়ে চললেন। কিন্তু ওবায়দুল্লাহ হোসাইন ও তাঁর দলকে শহরের আশপাশে বিচরণ করতে দেওয়া সংগত মনে করলেন না। তিনি ৪ হাজার অশ্বারোহীসহ ওমর বিন সাদকে পাঠালেন। মহররমের প্রথম দিন অবরুদ্ধ হোসাইন কুফার ২৫ মাইল উত্তরে ফোরাত তীরবর্তী কারবালা প্রান্তরে তাঁবু ফেললেন। এ সময় ওবায়দুল্লাহ হোসাইনকে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণের দাবি জানালেন এবং তাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করার উপায় হিসেবে ওমর বিন সাদকে ফোরাত নদের তীর অবরোধ করার আদেশ দিলেন। হোসাইন শত্রুতা ও রক্তক্ষয় এড়ানোর জন্য প্রথমে আপস প্রস্তাব দিয়ে বললেন, ‘আমি যে স্থান থেকে এসেছি আমাকে সেখানে যেতে দাও; তা না হলে আমাকে ইয়াজিদের কাছে দামেশকে নিয়ে গিয়ে তার হাতে আমার হাত স্থাপন করতে দাও, যেন আমরা মুখোমুখি আলোচনা করতে পারি। আর এ প্রস্তাবেও রাজি না হলে আমাকে দূরে কোথাও যুদ্ধের ময়দানে যেতে দাও, যেখানে আমি খলিফার বিশ্বস্ত সৈনিক হিসেবে ইসলামের দুশমনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি।’ ইতিহাসবিদ মুর বলেছেন, ‘এ অনুরোধ রক্ষা করা হলে উমাইয়াদের মঙ্গলই হতো।’ কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলো। বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ না করলে ওবায়দুল্লাহ সিমারকে অবিলম্বে হোসাইনকে মৃত অথবা জীবিতাবস্থায় কুফায় নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন। অতঃপর হোসাইনের শিবির অবরুদ্ধ হলো। ৯ মহররম শত্রুপক্ষ নদীপথ বন্ধ করলে পানির অভাবে শিবিরে হাহাকার উঠল। হোসাইন অসহায় ও      নিষ্পাপ শিশু এবং মহিলাদের প্রতি সদয় হতে অনুরোধ জানালেন।     কিন্তু শত্রুপক্ষ এ মানবিক আবেদনে এতটুকু বিচলিত হলো না। যুদ্ধ  ছাড়া হোসাইন কোনো গত্যন্তর দেখলেন না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর