মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকারি স্কুলে ভর্তি

সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন

সরকারি স্কুলে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুসারে রাজধানীর সরকারি স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদবাকি ৬০ শতাংশ ভর্তি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। রবিবার ঘোষিত নীতিমালায় ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকাসহ সব মহানগরী, বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদরেও কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। তবে নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কোনো কারণে অনলাইনে কার্যক্রম চালানো না গেলে কেবল উপজেলার ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করতে হবে। পাশাপাশি শূন্য আসনের জন্য সমানসংখ্যক অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রস্তুত রাখতে হবে। ভর্তি কমিটির নির্ধারিত তারিখে নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তি করা হবে। নির্বাচনের আগেই রাজধানীর সরকারি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে তারিখ নির্ধারণও করেছে শিক্ষা অধিদফতর। ১৭, ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর তিনটি ভাগে ভাগ করে রাজধানীর ৪১টি স্কুলের ভর্তি পরীক্ষা হবে। আর প্রথম শ্রেণিতে লটারি হবে ২০ ডিসেম্বর। ঢাকার ৩৮টি সরকারি হাইস্কুলে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যা ১২ হাজার ৩৬৬। এর মধ্যে ১৭ হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ১ হাজার ৯৬০টি আসন রয়েছে। এর বাইরে আরও তিনটি হাইস্কুলে এই প্রথমবার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। সরকারি হাইস্কুলগুলোর গড় মান বেসরকারি হাইস্কুলগুলোর চেয়ে ভালো হওয়ায় অভিভাবকদের এক বড় অংশ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তানদের ভর্তি করতে আগ্রহী। ধারেকাছের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করে দেওয়ায় অন্তত ৪০ শতাংশ অভিভাবক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে রেহাই পেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনা-নেওয়ার কারণে নগরজুড়ে যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমেছে। আমরা আশা করব, সরকারি স্কুলে ভর্তির যে নীতিমালা ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তা যথাযথভাবে অনুসৃত হবে। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে কিনা সেদিকেও তীক্ষè নজর রাখা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর